নিজস্ব প্রতিবেদক…..
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের ফলে খুলনায় তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। নদ-নদীতে জোয়ারের পানির চাপ বাড়ায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নামতে পারছে না। আবার নগরজুড়ে চলমান উন্নয়ন কাজ সড়ক কাদাপানিতে একাকার হয়ে আছে। অধিকাংশ সড়ক তলিয়ে রয়েছে নোংরা পানিতে। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে খুলনার জনজীবন। তবে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, তিন দিনে জেলায় ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ সারাদিন ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃষ্টির পানিতে নগরীর পিটিআই মোড়, রয়্যাল মোড়, ফেরঘিট মোড়, ডাকবাংলা মোড়, ময়লাপোতা, টুটপাড়া প্রধান সড়ক, মুজগুন্নী মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে রয়েছে। নগরীর ময়লাপোতার ছয় রাস্তা মোড় কাদামাটিতে একাকার হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন রূপসা মোড় থেকে শিপইয়ার্ড হয়ে রূপসা সেতু পর্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা। প্রায় চার কিলোমিটার এ সড়কটির নির্মাণ কাজে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে চলাচলে একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ সড়কের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাসা থেকে কেউ ভালো পোশাক পরে বের হতে সাহস পায় না, কখন কোন সময় যানবাহন কাদা ছিটিয়ে দেয় এ ভয়ে।
খুলনা সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রোকসানা কামাল লিলি বলেন, চার কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের মেরামতের দায়িত্ব খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ)। সংস্থাটি যে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে তারা খুব ধীরগতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ কাউন্সিলর আরও বলেন, নির্মাণ কাজে ধীরগতি থাকায় বৃষ্টিতে রাস্তার অনেক জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে হাঁটুসমান কাদা জমে গেছে। এলাকাবাসীকে চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে।
ময়লাপোতা এলাকার বাসিন্দা কেরামত আলী মন্টু, মাহবুব রহমান, ফারিয়া হাসান বলেন, ময়লাপোতা থেকে জিরো পয়েন্ট সড়কটির মেরামত কাজ চলতি বছর এপ্রিল মাসের শেষ হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। সড়কের বিভিন্ন স্থানে এখনো কাজ চলছে। বৃষ্টি হলে সড়কটি কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
নগরীর পিটিআই মোড় এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম, মিজানুর রশিদ, স্কুল ছাত্রী সাদিয়া বিনতে কালাম বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে নোংরা পানি চলে আসে। পায়ে চলা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। অন্যদিকে বৃষ্টি হলেই অটোরিকশা ও রিকসার ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।
এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক সম্প্রতি খুলনা মহানগরীতে চলমান সড়ক ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের নির্দেশ দিয়েছেন।