মিয়ানমার থেকে দেশে ইয়াবা প্রবেশ আড়াইগুণ বেড়েছে

parlia-20220825210744.webp

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক…

মিয়ানমারের সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর আগের চেয়ে বাংলাদেশে বেশি ইয়াবা প্রবেশ করছে। সুচি সরকারের তুলনায় এ সময়ে আড়াইগুণ বেশি ইয়াবা বাংলাদেশে ঢুকছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণীতে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।

ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, মিয়ানমারের সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর আগের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি ইয়াবা বাংলাদেশে ঢুকছে। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করলেও সেখানকার সামরিক সরকার বরং ইয়াবা কারবারীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। নাফ নদী ছাড়াও দূর্গম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা ঢুকছে। বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির অনেক দূর্গম পথ রয়েছে যেখানে সার্বক্ষণিক নজরদারী সম্ভব হয় না। সেখানকার একটি বিওপি থেকে অন্য বিওপিতে যেতে দুই দিন সময় লেগে যায়। ওই সব এলাকায় বিওপির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের হাত ধরেই বাংলাদেশে ইয়াবা শুরু হয়। এরপর সারাদেশে তা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেও মাদক বাণিজ্য ও সেবন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, কমিটির আগের বৈঠকে মসজিদ, মন্দির ও গোরস্থানের কমিটি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে সভাপতি টুকু বলেন, সম্প্রতি মসজিদ, মন্দির এবং গোরস্তান কমিটি থেকে প্রকৃত ধর্মপ্রাণ ভালো মানুষ ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছেন। মাদক কিংবা সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব পদে আসছেন। ফলে প্রকৃত সৎ মানুষরা সমাজ ও দেশের জন্য অবদান রাখতে পারছে না।

এসময় তিনি বলেন, দেশের সব মসজিদ, মন্দির ও গোরস্থানসহ অনান্য ধর্মীয় উপসানালয়ের কমিটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে গঠন হলে ইতিবাচক ফল আসবে। পরে কমিটির সুপারিশে অন্য একটি বৈঠকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়-বৈঠকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে এবং সংসদ সদস্য ভবনের পাশে গাড়ি চলাচলের সময় হর্ন না বাজানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

এছাড়াও স্বামী-স্ত্রী সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকলে তাদের পাশাপাশি কর্মস্থলে পদায়নে বিশেষ লক্ষ্য রাখার সুপারিশ করা হয়।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top