নিজস্ব প্রতিবেদক………
খুলনার বাজারে সবজির দাম মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও কাঁচা মরিচের দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। তিন-চারদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম ডাবল সেঞ্চুরি হয়েছে।
খুলনার ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনাবৃষ্টির কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম। ফলে দাম বেড়েছে। এখন আমদানি করা কাঁচা মরিচই ভরসা।
শনিবার (২৩ জুলাই) কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ১৬০-২০০ টাকায় বিক্রি হলেও গত তিনদিন আগে বিক্রি হয়েছে ১২০-১৩০ টাকা দরে। অর্থাৎ তিনদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে অন্তত ৪০ টাকা।
নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন ৪০-৫০, উচ্ছে ৫০, ঢেঁড়শ ৪০, ঝিঙে ৪০-৪৫, আলু ৩০, দেশি পেঁয়াজ ৪০, রসুন ৮০, কাকরল ৫০, পেঁপে ৩৫-৪০, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর টুটপারা জোড়াকল বাজারের ব্যবসায়ী রবিউল, রানা, বাদশা, আয়েশা বেগম বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজির দাম একটুকু কম হলেও কাঁচা মরিচে যেন আগুন লেগেছে। পাইকারি বাজারে প্রতিদিনই মরিচের দাম বাড়ছে।
নগরীর শের-এ বাংলা রোডস্থ কেসিসি সন্ধ্যা বাজারের ব্যবসায়ী মো. মুন্নাফ বলেন, বাজারে সরবরাহ তুলনামূলক কম থাকায় কাঁচা মরিচের দাম বাড়তি। তবে পাইকারী বাজারে সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।
নগরীর রূপসা বাজারের সবজি বিক্রেতা আহাদ আলী বলেন, পাইকারী বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির সবরবাহ অনেক কম।
টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের নিয়মিত ক্রেতা মো. ইউসুফ আলী বলেন, বর্তমানে বাজারে যাওয়াই দূরহ হয়ে পড়েছে। এক পণ্যের দাম কমলে ১০ পণ্যের দাম বাড়ে। সবজির দাম কিছুটা কমলেও কাঁচা মরিচে হাত দেয়ার উপায় নেই।
শায়লা বেগম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘সবজির মূল্য কিছুটা কম থাকলেও দুই-তিনদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় বেশি লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইচ্ছামত দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।