নিরাপত্তার ‘অজুহাতে’ মাকে নিয়ে ঢাকায় মরিয়ম

fdgf-20220927092854.webp

নিজস্ব প্রতিবেদক…..
উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগমকে নিরাপত্তার অজুহাতে ঢাকায় নিয়ে গেছেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে খুলনার মহেশ্বপাশা বণিকপাড়ার বাড়ি ফিরে সেখান থেকেই মরিয়ম তার মাকে নিয়ে চলে যান ঢাকায়। এ সময় সঙ্গে আরও ছিলেন রহিমার তার আরেক মেয়ে আদুরি এবং এক জামাতা।
খুলনা ছাড়ার বিষয়ে মরিয়ম মান্নান বলেন, ‘আদালত থেকে মাকে নিয়ে বাসায় যাই। কিন্তু সেখানে মায়ের নিরাপত্তার অভাব মনে করে ঢাকায় বসুন্ধরায় চলে আসি।’
এর আগে রোববার বিকেলে রহিমাকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানির পর তাকে মুচলেকায় মামলার বাদী মেয়ে আদুরির জিম্মায় দেন আদালত। পরে তাকে বয়রা এলাকায় ছোট মেয়ে আদুরির বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে নিচে নামেন রহিমা বেগম (৫২)। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। রাতে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান মেলেনি। এরপর সাধারণ ডায়েরি ও পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন তার সন্তানরা। এ মামলা তদন্তকালে পুলিশ ও র‌্যাব ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করে।
১৪ সেপ্টেম্বর আদালত মামলাটির তদন্তভার পিবিআইতে দেন। এখন এ মামলার তদন্ত করছে পিবিআই পরিদর্শক আব্দুল মান্নান। ২২ সেপ্টেম্বর রহিমার মেয়ে মরিয়ম আক্তার ওরফে মরিয়ম মান্নান দাবি করেন, তার মায়ের মরদেহ তিনি পেয়েছেন। তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের ফুলপুরে দিনভর অবস্থান নেন এবং ব্যস্ততম সময় অতিবাহিত করেন। একই সঙ্গে সেখানে ১০ সেপ্টেম্বর উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত এক নারী মরদেহকে নিজের মা বলে শনাক্ত করেন।
এদিকে শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুসের বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top