নিজস্ব প্রতিবেদক :
সন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। জুয়েল কে বিজয়ী করতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ প্রাণান্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ৫ বছরে তিনি এই আসনটিতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।
এবারের নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে সাধারণ ভোটারদের জুয়েলের প্রতি আস্থা ও ভালবাসা বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রচারণায় জুয়েল খুলনাকে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এতেকরে, সাধারণ ভোটারেরাও বেশ আশ্বস্থ হয়েছেন। এছাড়া সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারিও প্রদান করেছেন জুয়েল। খুলনা-২ আসনের সাধারণ ভোটারেরা ধারণা পোষন করছেন খুলনার উন্নয়নে শেখ জুয়েলকে নির্বাচিত করার কোন বিকল্প নেই। চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে খুলনার দৃশ্যপট পাল্টাতে তাকেই পুনরায় নির্বাচিত করতে হবে বলে সাধারন জনগণ মত পোষন করছেন।
সূত্রমতে, বাংলাদেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে জয়ী হন আ’লীগ প্রার্থী এম এ বারী। বিগত দিনে এ আসনে বিএনপি’রই প্রাধান্য দেখা গেছে। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে শেখ রাজ্জাক আলী বিএনপি’র মনোনয়নে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিজয়ী হন এ আসনটিতে। পরে তাঁর ছেড়ে দেয়া আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী আসগর লবী। তারপর নগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজানকে পরাজিত করেছিলেন এক হাজার ৬৭০ ভোটের ব্যবধানে। ওই নির্বাচনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছিলেন ৯০ হাজার ৯৫০ ভোট আর মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান পান ৮৯ হাজার ২৮০ ভোট। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করেনি। ফলে বিজেপির তৎকালীন নগর সভাপতি রাশিদা করিমকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান।
খুলনার রাজনীতির মাঠে জুয়েলের অভিষেক ঘটছে আসন্ন ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে ঘিরে।এই নির্বাচনে খুলনা-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে (১,১২,১০০) নির্বাচিত হন সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। এবারের নির্বাচনে সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের নৌকা প্রতিকের বিপরীতে লড়ছেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের দেবদাস সরকার (ডাব), জাতীয় পার্টির গাউসুল আজম (লাঙ্গল), সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের সুকুমার রায় (ছড়ি), জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম’র আব্দুল্লাহ আল আমিন (নোঙ্গর), গণতন্ত্রী পার্টির মতিউর রহমান (কবুতর) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাঈদুর রহমান (ঈগল)। আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩,২০,২২০ জন।