করোনা ভারতে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে

Untitled-11-copy-13.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ফলে বিভিন্ন রাজ্যকে করোনা নিয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি কর্নাটকে করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এর আগে কেরালায় চারজনের মৃত্যু হয়।
বুধবার এ বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, দেশের সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠকও করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয়া। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এসপি সিংহ বঘেল এবং ভারতী পাওয়ার। এছাড়া স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্যসংক্রান্ত গবেষণা দফতরের সচিব, নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্যসংক্রান্ত) সদস্যও যোগ দেন বৈঠকে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই বৈঠকেই করোনার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির বিষয়ে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন মান্ডবীয়া। সেই সঙ্গে রাজ্যগুলোকেও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মান্ডবীয়া বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্রের সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে প্রতি তিন মাস অন্তর বিভিন্ন রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার মহড়া দিতে হবে। এছাড়াও কোনো রোগীর শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেলেই ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-২ জেনোমিকস কনসর্টিয়ামে (ইনসাকোগ) তার নমুনা পাঠাতে হবে। যাতে করোনার নতুন কোনো রূপ তৈরি হয়েছে কি না তা জানা যায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ মাসে দেশে সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে বুধবার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনা সংক্রমণের এই সাম্প্রতিক বৃদ্ধির নেপথ্যে করোনা ভাইরাসের নতুন উপ-ধরনকেই দায়ি করছেন বিশেষজ্ঞরা। জেএন.১ নামের এই উপ-ধরন প্রথম ধরা পড়ে কেরালায়। গত কয়েকদিনে দক্ষিণের এই রাজ্য এবং কর্নাটকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, করোনাপ্রতিরোধী অনুমোদিত সব টিকাই জেএন.১-এর বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দেবে। কেরালায় বর্তমানে ১ হাজার ৩২৪ জন কোভিড-১৯ রোগী রয়েছেন। গত শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজ্যটিতে করোনাজনিত কারণে অন্তত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে কেরালায় একটি নমুনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় জেএন.১ উপ-ধরন শনাক্ত হয়। রোগী ছিলেন ৭৯ বছর বয়সী এক নারী। তার ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় অসুস্থতা ছিল এবং পরে তিনি সুস্থও হয়ে ওঠেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top