ডেস্ক রিপোর্ট: উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর দিনই কলেজের অধ্যক্ষকে পেটালেন মোসারব হোসেন। এমন ঘটনা ঘটেছে নওগাঁর রাণীনগরে।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আবাদপুকুর-আদমদিঘী সড়কের ভেটি-সিলমাদার নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা বিএনপি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মারধরের শিকার অধ্যক্ষ।
অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক জানান, বেলা ১২টার দিকে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে কলেজে যাচ্ছিলাম। পথে আবাদপুকুর-আদমদিঘী রাস্তার ভেটি-সিলমাদার নামক স্থানে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব আমাকে দাঁড় করিয়ে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, একসময় সে আমার কলার ধরে কিল, ঘুষি এবং লাথি মেরে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে পাকা রাস্তার উপর মারতে থাকে। তার সঙ্গে থাকা কর্মীরাও আমাকে বেধম মারধর করেন। একপর্যায়ে রাস্তার পাশের আম গাছের ডাল ভেঙ্গে সেই ডাল দিয়ে রাস্তার উপরেই মারতে থাকে।
অধ্যক্ষ আরও জানান, আমি নাকি উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে তার প্রতিপক্ষ এমদাদুলের ভোট করেছি। অথচ বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্য ও বানোয়াট। এরই জের ধরে মোসারব ও তার কর্মীরা আমাকে পিটিয়েছে। এ ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি জেলা বিএনপির কাছে অভিযোগ করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, রাণীনগর উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন বলেন, শনিবারের দলীয় সম্মেলনে অধ্যক্ষ সাহেব অন্য একজনের হয়ে আমার বিপক্ষে জাল ভোট দিয়েছিলেন। আমি রোববার আমার গাড়ি দাঁড় করিয়ে অধ্যক্ষকে বললাম নবাব ভাই আপনি একজন প্রিন্সিপাল মানুষ হয়ে এই কাজটি করা কি আপনার ঠিক হয়েছে? তখন আমার গাড়ির পিছন দিকের ছেলে পেলেরা একটু বাগবিতন্ডা করেছে। আমি তাকে কোন প্রকার মারধর করিনি এবং আমার কোন কর্মীও তাকে মারধর করেনি। তিনি যে অভিযোগ করছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু বলেন, আমি মোসারব হোসেনকে ডেকে থ্রেট করেছি।