জেলা প্রতিনিধি…
আহত যুবককে নিজ গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনওX
একটি বেসরকারি কোম্পানির বিক্রয়কর্মী সবুজ হোসেন (২২)। তার পণ্য সরবরাহকারী গাড়িটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় ওই পথে যাচ্ছিলেন চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা। নিজ গাড়িতে করে সবুজকে হাসপাতালে নেন ইউএনও।
সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে যশোর-চৌগাছা সড়কের কয়ারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘দুপুরে চৌগাছা-যশোর সড়কের খোর্দ্দ সিংহঝুলী এলাকায় একটি চাল মিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চৌগাছায় ফিরছিলাম। পথে কয়ারপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আমাদের গাড়ির ৫-৭ গজ সামনে দ্রুতগতির দুটি আলমসাধু (স্থানীয় যানবাহন; একটি খালি এবং অপরটি কোম্পানির পণ্য সরবরাহকারী) একটি অপরটিকে ওভারটেকিং করছিল। এ সময় কোম্পানির আলমসাধুটি রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে। এতে কোম্পানির বিক্রয়কর্মী সবুজ হোসেনের শরীরের ওপর দিয়ে গাড়ির চাকা উঠে যায়। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন।’
‘বিষয়টি দেখে তাৎক্ষণিকভাবে নিজের গাড়ি চালক সেলিম রেজাকে গাড়ি থামাতে নির্দেশ দেই। পরে গাড়িচালক, অফিসের কর্মচারী জামির হোসেন ও সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় নিজের গাড়িতে করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির পর সবুজকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। তখন দেখা দেয় নতুন বিপত্তি।’
ইউএনও ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটি অন্য রোগী নিয়ে যশোরে অবস্থান করছিল। পরে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে ওই যুবককে যশোরে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও ইরুফা সুলতানা।
ইউএনওর কর্মচারী জামির ও গাড়িচালক সেলিম বলেন, ‘ম্যাডামের নির্দেশে দ্রুত হাসপাতালে না আনলে ছেলেটির খুব ক্ষতি হয়ে যেতো।’
চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার বলেন, পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ির চাকা চলে যাওয়ায় ছেলেটি মারাত্মক আহত হন। ইউএনও তাকে দ্রুত হাসপাতালে না আনলে অভ্যন্তরীণ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারতো।