চালের বাজার অস্থিতিশীল করলে ছাড় নয় : খাদ্যমন্ত্রী

Untitled-57-copy.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। নতুন ধান বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ধানের দামও এখন কম। এ অবস্থায় চালের দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই।
গতকাল ২৩ নভেম্বর সকালে চলতি মৌসুমের আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। খাদ্য সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক (সংগ্রহ) মনিরুজ্জামান ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি মৌসুমে আমনের ফলন ভালো হয়েছে। দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাদ্য মজুদ আছে। চালের বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসন তীক্ষè দৃষ্টি রাখছে। অজুহাত দিয়ে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা মেনে নেয়া হবে না।
এসময় মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কোয়ালিটির মানদ-ে উত্তীর্ণ না হলে সে চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো আপোস হবে না।
তিনি বলেন, কৃষক যেন গুদামে ধান নিয়ে এসে হয়রানির শিকার না হন, সেটা খাদ্য কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে। ফুডগ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া কেউ যেন ধান চালের অবৈধ ব্যবসা করতে না পারে, সেদিকে প্রসাশনের নজরদারি বাড়াতে হবে। এছাড়া মজুত ও বিক্রির পাক্ষিক প্রতিবেদন দেয়ারও নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি বছরের আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি আমন ধানের দাম ৩০ টাকা, প্রতি কেজি আমন সেদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং আমন আতপ চালের দাম ৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এবারের আমন মৌসুমে ২ লাখ টন আমন ধান, ৪ লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং ১ লাখ টন আতপ চাল কেনা হবে। সরকারের ধান-চাল সংগ্রহের এই কার্যক্রম চলবে ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top