খুলনা সিটি নির্বাচন: শেষ মুহূর্তে চলছে বিরামহীন প্রচারণা

1686400506.011.jpg

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ………
সময়ের হিসেবে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের বাকি আর মাত্র এক দিন। শনিবার (১০ জুন) মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে প্রচার- প্রচারণা।

মাঝে একদিন বিরতি দিয়ে সোমবার (১২ জুন) অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। তাই শেষ মুহূর্তে চলছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিরামহীন প্রচার-প্রচারণা।
শনিবার দিনভর মেয়র, সাধারণ আসনে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। নির্বাচনে জয়ী হতে মরিয়া তারা। শেষ দিন হওয়ায় প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। চূড়ান্ত হিসাব নিকাশ ও প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লা সবখানে জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। মিছিল, পথসভা, কর্মীসভাসহ নানা উপায়ে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণে ব্যস্ত প্রার্থীরা।

কেসিসি নির্বাচনের মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাপার শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

সিটি করপোরেশনে ৩১টি ওয়ার্ড রয়েছে। এছাড়াও সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে ১০টি। ১৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুইজন বিজয়ী হয়েছেন। ২৯টি ওয়ার্ডে শুধু কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৫ জন।

এবারের সিটি নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।

আগামী ১২ জুন দ্বিতীয় ধাপে খুলনা সিটি করপোরেশনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ২৮৯টি কেন্দ্র ও ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

নৌকা প্রতীকের প্রচারকালে কথা হয় খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রেদওয়ান মারুফের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, স্মার্ট ও তিলোত্তমা খুলনা বিনির্মাণে তালুকদার আব্দুল খালেকের বিকল্প নেই। খুলনা নগরীকে নতুন রূপে সাজাতে তার মতো দক্ষ লোকের আবারও মেয়র হওয়া প্রয়োজন। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে স্বাধীনতার পক্ষের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১২ জুনের নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সহকারী মিডিয়া সমন্বয়ক মো. এম এ সাদী বাংলানিউজকে বলেন, হাতপাখা মার্কা নিপীড়িত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আস্থা পেতে শুরু করেছে। ইসলামী আন্দোলন কেসিসি নির্বাচনে ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছে নগরবাসীর। আশা করছি আমাদের সঙ্গে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top