নয় হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন নিয়ে সংশয়: জ্বালানি উপদেষ্টা

image-845400-1725131744.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, খুলনায় প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হয়েছে, যা জাতীয় জিডিপিতে যুক্ত হয়েছে। জিডিপি বাড়লেও গ্যাসভিত্তিক এ পাওয়ার প্ল্যান্ট সহসা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না।

শনিবার সকালে খুলনার খালিশপুরে রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে তিনি একথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা তো অনেক আগে থেকেই জানতাম বাংলাদেশে গ্যাসের রিজার্ভ কমে যাবে, এখান থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে না। বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে নয় হাজার কোটি টাকা খরচ হলো। কিন্তু মানুষ এ থেকে কোনো উপকার পাচ্ছে না। এটাই হলো উন্নয়নের ভ্রান্তি।

তিনি বলেন, এতদিন আমাদের দেশে উন্নয়নের কাহিনী পড়ানো হচ্ছিল। বাংলাদেশে আমাদের মাথাপিছু আয় ও জিডিপি বাড়ছে এবং আমরা নিæ আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছি। এখন দেখা যাচ্ছে এটা একটা ভ্রান্তি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে পুনর্গঠন করতে চাই। বিদ্যুৎ খাতে অনিয়মের কাঠামো ভেঙে দিতে চাই। এ খাতে ঘটা অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে। মনে রাখতে হবে, এটা একটি নতুন বাংলাদেশ। এখানে সবার সমান সুযোগ। সংকট যেমন আছে সমাধানও তেমন আছে।

জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ডিজেল ১০৬.৭৫ টাকা থেকে ১.২৫ টাকা কমিয়ে ১০৫.২৫ টাকা, অকটেনের দাম ১৩১ টাকা থেকে ৬ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২৭ টাকা থেকে ৬ টাকা কমিয়ে ১২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টা থাকবে যেন ভবিষ্যতে জ্বালানি তেলের মূল্য আরও কমাতে পারি। আজ (শনিবার) রাত ১২টার পর থেকেই জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য কার্যকর করা হবে। এদিকে জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে শনিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. রেজাউল করিম, খুলনার জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইউসুফ আলীসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও উপদেষ্টা খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনপ্রতিনিধি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা, স্থানীয় সুশীল সমাজ, ছাত্র সমন্বয়ক ও প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

Share this post

scroll to top