নিজস্ব প্রতিবেদক.
খুলনার কয়রায় কপোতাক্ষ নদের প্রবল স্রোতে ভেঙে যাওয়া চরামুখা বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতের চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা। সোমবার (১৮ জুলাই) ভোর থেকে গ্রামের অন্তত চার হাজার মানুষ বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছেন। দুপুরে জোয়ারের আগেই বাঁধ মেরামত শেষ হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এসময় তাদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস।
উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ওসমান গনি জানান, গত রোববার চরামুখা গ্রামে কপোতাক্ষ নদের প্রবল জোয়ারে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়। ওইদিন সকালে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি মেরামতের চেষ্টা চালান। কিন্তু দুপুরের জোয়ারের পানি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। পরে সোমবার ফজরের নামাজ পড়ে ৩-৪ হাজার গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের বাঁধটি মেরামতের কাজ শুরু করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য খোকন সরদার বলেন, চরামুখা গ্রামের খালের গোড়ায় ২০০ মিটার জায়গা জুড়ে ভাঙন দেখা দেওয়ায় সোমবার সকাল থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসী বাঁধ মেরামতের কাজ করছেন।
সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড মেম্বর রাশিদা খানম বলেন, ভোর থেকে এলাকার জনসাধারণ নিয়ে বাঁধ নির্মাণ করার চেষ্টা করছি। দুপুরের জোয়ারের আগেই শেষ হবে মেরামত।
কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকেই আমরা বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি দুপুরের জোয়ারের আগেই মেরামত কাজ সম্পন্ন হবে। এটা স্থায়ী কোনো সমাধান নয়, বাঁধ মেরামতের জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। এখানে প্রতি বছরই বাঁধ ভেঙে যায় আর এভাবে মেরামত করা হয়।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাস-নাইন মাহমুদ বলেন, পাউবোর একটি টিম গ্রামবাসীর সঙ্গে ভাঙনকবলিত স্থানে উপস্থিত থেকে বাঁধ মেরামতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
Very interesting points you have mentioned, thanks for posting.Leadership