খুলনায় দুই পুলিশ সদস্যকে হত্যা বিস্ফোরকের পৃথক মামলায় ৮ আসামির খালাস

kk-20221201153649.webp

নিজস্ব প্রতিবেদক…..

খুলনায় দুই পুলিশ সদস্য হত্যায় বিস্ফোরক আইনে পৃথক মামলায় আট আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কে এম ইকবাল হোসেন জানান, ২০০৩ সালের ৩ মার্চ পুলিশ সদস্য শরীফুল, রমেশচন্দ্র, নিজাম উদ্দিন ও মনিরুজ্জামান নগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামানের পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অপর দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। তাদের অবস্থা মারাত্মক সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা রমেশ চন্দ্রের নামে সরকারি অস্ত্র শর্টগান ৯৭ মডেল ও ৭ রাউন্ড গুলি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে তাদের মধ্যে শরীফুল ও রমেশচন্দ্রকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানার এস আই আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামিদের করা হয়। পরে ২০০৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এস আই অরবিন্দু বিশ্বাস ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রভূক্ত আসামিরা হলেন- পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির খুলনা বিভাগীয় নেতা আব্দুর রশিদ মালিথা তপন, মাশিকুল ইসলাম মফিজ ওরফে নাসিম, শরীফুজ্জামান ওরফে সুমন ওরফে বাবু, মিলন, কামাল, বিপ্লব, শেখ শাহাদাৎ হোসেন ওরফে রাজু, আসাদুজ্জামান ওরফে টিটু ওরফে ছোট টিটু ওরফে টিকলু, একরাম হোসেন ও রফিকুল ইসলাম মিল্টন ওরফে রফিক। আসামিদের মধ্যে তিনজন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। তারা হলেন- আব্দুর রশিদ মালিথা তপন, মাশিকুল ইসলাম মফিজ ও সুমন। এদের মধ্যে শাহাদাৎ হোসেন রাজু কারাগারে আটক রয়েছেন। বাকিরা পলাতক।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top