ভূমিকম্পের ১০৪ ঘণ্টা পর তুরস্কে জীবিত উদ্ধার ৯

1676030540.webp

আন্তর্জাতিক ডেস্ক….

তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার ১০৪ ঘণ্টা পর তিনটি আলাদা শহর থেকে নয়জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে দমকলকর্মীরা।

আল জাজিরার লাইভ আপডেট প্রোগ্রামে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়, কয়েক দশকের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ১০০ ঘণ্টা পর থেকে দমকল ও সাহায্যকর্মীরা একের পর এক খুশির সংবাদ দিচ্ছেন। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে জীবিতদের উদ্ধার করছেন।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ইসকেনদেরুনের একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে এক পরিবারের ৬ জনকে উদ্ধার করে দমকলকর্মীরা। তার আগে এপিসেন্টার কাহরামানমারাস থেকে উদ্ধার করা দুই বোনকে। পরে জানা যায়, জেইনেপ কাহরামানকে কিরিখান শহর থেকে উদ্ধার হয়েছেন একজন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা মুরাত বায়গুল।

তিনি বলেন, যাদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের শরীরে সামান্য আঘাত দেখা গেছে। শারীরিকভাবে তারা দুর্বল। এ ছাড়া গুরুতর কোনো সমস্যা তাদের নেই। সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিখোঁজদের উদ্ধারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর সিসমিক সেন্সর ব্যবহার করছে।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় একসঙ্গে হওয়া ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ হাজার ৭২১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে গত সোমবার ভোরের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

শুক্রবার তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) বলছে, সেদেশে নিহত বেড়ে ১৮ হাজার ৩৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ২৪২ জনে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ৭৫ হাজার ৭৮০ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এক লাখ ২১ হাজার কর্মী উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে জড়িত। ভূমিকম্পের পর এক হাজার ৫০৯টি আফটারশক হয়েছে বলে জানিয়েছে এএফএডি।

এদিকে, সিরিয়ায় অন্তত তিন হাজার ৩৭৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

ভূমিকম্পে দুই দেশেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু ভবন ভেঙে পড়েছে। অনেকে ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর আগে বলেছিল, হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে। প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশ ত্রাণ ও সহযোগিতা নিয়ে এই দুর্যোগে এগিয়ে এসেছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top