গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সময়সীমা পেছাল ইসরাইল, কিন্তু কেন?

netanyahu-678ca5f5e5e39.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে যেসব জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে, তাদের নামের তালিকা না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। খবর আলজাজিরার।

রোববার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, যতক্ষণ না হামাস মুক্তি দিতে চাওয়া জিম্মিদের তালিকা দিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না।  স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা।

এর কিছুক্ষণ পরেই এক বিবৃতিতে হামাস ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে’ জিম্মিদের নামের তালিকা হস্তান্তরে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

আম্মান থেকে আলজাজিরার সংবাদদাতা স্টেফানি ডেকার বলেছেন, ‘হামাস ও ইসরাইল উভয়ের ওপর এত বেশি আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে যে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও এগিয়ে নেওয়া খুব কঠিন হবে।’

এর আগে শনিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধের চুক্তির প্রথম ধাপটি ‘একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি’। এটি ব্যর্থ হলে মার্কিন সহায়তায় পুনরায় যুদ্ধ  শুরু করার অধিকার রয়েছে ইসরাইলের।

গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরাইল। আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

Share this post

scroll to top