ডেস্ক রিপোর্ট: মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে টানাপোড়েন সম্পর্কের জন্য বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে দায়ী করেছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এ কথা জানিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের তিন সপ্তাহ আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মতোই রাশিয়ার কূটনৈতিক মিশনের ১২০ জন কর্মচারীকে বহিষ্কার করে নতুন প্রশাসনের জন্য পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।
এছাড়াও বর্তমান প্রশাসন সার্বিয়ার তেল শিল্প থেকে রাশিয়ার বিনিয়োগ অপসারণের দাবি করে সার্বিয়ার ওপর একটি নোংরা কৌশল চালানোর চেষ্টা করছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়া বেলগরোদের সঙ্গে জরুরি পরামর্শের অনুরোধ করেছে। খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে একটি আশানুরূপ উত্তর পাওয়া যাবে বলে আশা রুশ মন্ত্রীর।
লাভরভের মতে, বাইডেন ন্যাটোকে শক্তিশালী করার জন্য এবং ইউক্রেনকে সাহায্য করতে ৫০টি দেশের সমর্থন সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি ইউক্রেনকে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।
তার ফলসরূপ মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলের ক্ষতি প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার উল্লেখ করে লাভরভ বলেন, এটি ইউক্রেনকে মার্কিন সহায়তার চেয়ে অনেক বেশি।
লাভরভ বলেন, ন্যাটো চুক্তি ভঙ্গ করে রাশিয়া এবং ইউরোপের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থার মধ্যে একাধিক নথি স্বাক্ষর করেছে এটি প্রথমবার শুধু একজন মার্কিন নেতাই নয়, বরং কোনও পশ্চিমা নেতাও সততার সঙ্গে স্বীকার করলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করবে রাশিয়া। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য রাশিয়া অপেক্ষা করবে বলেও জানান তিনি।