ডেস্ক রিপোর্ট: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) নতুন ভিসি হলেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ড. জি.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান।
রোববার রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর অনুমোদিত ও মো. শাহীনুর ইসলাম (উপসচিব) স্বাক্ষরিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম ভিসি হিসেবে পূর্বসূরী প্রফেসর ড. গিয়াসউদ্দীন মিয়ার স্থলাভিসিক্ত হলেন। এ পদে পদায়ন হওয়ায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ ভিসি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং তার সাথে কুশল বিনিময় করেন।
নতুন এ উপাচার্য গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রজ্ঞাপনের নীতি অনুসরণ করে জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হন। এর আগে তিনি বিভাগীয় প্রধান এবং প্রভোস্ট এর দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিতে সম্মান ডিগ্রি (বিএসসি) এবং ১৯৯৩ সালে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে উৎকৃষ্ট ফলাফলের সাথে মাস্টার্স (এমএসসি) ডিগ্রি লাভ করেন এ অধ্যাপক।
পরে ২০০০ সালে জাপানের চিবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেস্টিসাইড টক্সিকোলজি ল্যাবরেটরি থেকে ‘মৃত্তিকা দূষণ গবেষণা’ বিষয়ে পিএইচডি লাভ করেন। এর আগে তিনি প্রায় ১৪ বছর বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিউট (ইওঘঅ) এর সিনিয়র বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করেছেন। প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান চীনের বিজ্ঞান একাডেমি (ঈঅঝ) এবং সৌদি আরবের কিং আবদুল আজিজ সিটি ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এর একজন ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেন।
নবনিযুক্ত এ ভাইস-চ্যান্সেলরের ১০০ টির বেশি প্রকাশনা রয়েছে যার অধিকাংশ এসসিআই থমসন রয়টার্স কর্তৃক প্রকাশিত। কৃষি ও পরিবেশে অগাধ জ্ঞানের পান্ডিত্যের স্বরূপ তিনি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও পরিবেশ প্রকৌশল সমিতি, আন্তর্জাতিক মৃত্তিকা বিজ্ঞান ইউনিয়ন প্রভৃতি সংস্থার গর্বিত সদস্য। বাংলাদেশের এসিড মাটি অঞ্চলের জন্য বিশেষ চুন প্রযুক্তি (২০১৪) উদ্ভাবনের সাথে সক্রিয়া ভূমিকা রাখেন। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্বীকৃত এ গবেষক সফলভাবে বহু গবেষণা প্রকল্পের তত্ত্বাবধান করেছেন যার মধ্যে, মাটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, শিল্প দূষণ মূল্যায়ন ও ব্যবস্থাপনা অন্যতম।