পূজামণ্ডপে হামলা ও স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনায় ভারতের উদ্বেগ

ezgif-3-fae3c1b52d-670b5611b2be9.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশকে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘু এবং তাদের উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে ভারত। ঢাকার তাঁতিবাজার এলাকায় পূজামণ্ডপে ‘বোমা নিক্ষেপ’ এবং  সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী মন্দির থেকে দেবী কালীর মুকুট চুরির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে দিল্লি।

শনিবার (১২ অক্টোবর) ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা ঢাকার তাঁতীবাজারে একটি পূজা মণ্ডপে হামলা এবং সাতক্ষীরার শ্রদ্ধেয় যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে চুরির ঘটনাকে গুরুতর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি’।

‘এগুলো দুঃখজনক ঘটনা।  তারা মন্দির এবং দেবতাদের অবমাননা ও ক্ষয়ক্ষতি করার নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করছে।  যা আমরা এখন বেশ কয়েকদিন ধরে প্রত্যক্ষ করেছি’।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারকে হিন্দু এবং সব সংখ্যালঘু এবং তাদের উপাসনালয়গুলোর নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই, বিশেষ করে এই শুভ উৎসবের সময়ে’।

এর আগে তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) একটি অবিস্ফোরিত ‘বোমা নিক্ষেপের’ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে ২০২১ সালের মার্চে যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনকালে কালীপ্রতিমার মাথায় পরিয়ে দেওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপহারের মুকুট চুরি হয়।

এরইমধ্যে স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে।  এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  শুক্রবার সকালে ওই মন্দির পরিদর্শন করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শুধু তাই নয়, মুকুট চুরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়েছে।

এছাড়া স্বর্ণের মুকুটটি যেন বিক্রয় অথবা কোনো স্বর্ণের দোকানে গলানো বা ধরন পরিবর্তন করতে না পারে, সে জন্য দোকানগুলোয় বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ভারত সরকারের উদ্বেগের বিষয়ে ভয়েস অব আমেরিকা আইজিপি ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘এটা নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাই না। শুধু বলবো, এটা আমাদের নিজস্ব ব্যাপার। এটা নিয়ে অন্য কারও উদ্বেগের কিছু নেই’।

Share this post

scroll to top