দক্ষিণ লেবাননে বাসিন্দাদের আবারও সরে যাওয়ার নির্দেশ ইসরাইলের

ezgif-3-2d16c087a9-670b681e9e812.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরাইলের আক্রমণ শুরুর পর মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ লেবানন।  দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়েও সেখানে সামরিক অভিযান থামাচ্ছে না ইসরাইল। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দাদের আবারও সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটি।

একইসঙ্গে ওই অঞ্চলে আহত বেসামরিক নাগরিকদের সেবায় ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্সকেও লক্ষ্যবস্তু করার হুমকি দিয়েছে ইসরাইল।

রোববার (১৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

শনিবার ইসরাইলের সামরিক বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের ২৩টি গ্রামের বাসিন্দাদের পশ্চিম বেকা উপত্যকা থেকে ভূমধ্যসাগরে প্রবাহিত আওয়ালি নদীর উত্তরের অঞ্চলে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে।

একটি সামরিক বিবৃতির মাধ্যমে পাঠানো এই আদেশে দক্ষিণ লেবাননের এমন গ্রামগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলো ইসরাইলি আক্রমণের সাম্প্রতিক সময়ে হামলাহয়েছে।  যার মধ্যে অনেকগুলো ইতোমধ্যে প্রায় খালি।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী শনিবারও দাবি করেছে, ‘হিজবুল্লাহর সন্ত্রাসীরা নিজেদের এবং অস্ত্র পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করছে’।

তাই কর্মরত মেডিকেল টিমকে ‘হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ এড়িয়ে চলতে এবং তাদের সাথে সহযোগিতা না করার” আহ্বান জানানো হয়েছে’।

সামাজিক মাধ্যম এক্স-এর একটি পোস্টে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র হুমকি দিয়ে বলেছে, ‘সশস্ত্র লোকদের বহনকারী যেকোন গাড়িকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে’।

হিজবুল্লাহর সঙ্গে এক বছরের সীমান্ত সংঘর্ষের পর, এখন লেবানের অভ্যন্তরে ইসরাইলি আক্রমণ বেড়েই চলছে লেবাননে। গোষ্ঠীটি মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের প্রক্সিবাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র সংগঠন।  গাজায় হামাসের সমর্থনে ইসরাইলের বিরুদ্ধে রকেট হামলা চালিয়ে আসছিল হিজবুল্লাহ।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইরানি কুদস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল আব্বাস নিলফোরোওশানকে দক্ষিণ লেবাননের দাহিয়ায় হত্যা করে ইসরাইল।  নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার তিন দিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর সীমান্ত দিয়ে ঢুকে ইসরাইলি সেনারা স্থল হামলা শুরু করে।

তেল আবিব বলে আসছে, হিজবুল্লাহর হামলার ভয়ে উত্তর ইসরাইলের অন্তত ৬০ হাজার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে হয়েছে।  এসব বাস্ত্যচুত পরিবারকে ঘরে ফেরাতে যে কোনো মূল্যে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যাবে তারা।

Share this post

scroll to top