বাঘার দুই ইউপির বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের তদন্ত শুরু

588-670a04656b264.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ও চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের প্রায় ১৭ লাখ টাকা আত্মসাতের তদন্ত শুরু হয়েছে।

শুক্রবার ‘রাজশাহীর গড়গড়ি ও চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ, কাজ না করেই বরাদ্দের ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।  এ সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসনকে এই অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। জেলা প্রশাসন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর শুক্রবার সন্ধ্যায়  বলেন, আমি বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। জেলা প্রশাসন তদন্ত করবে। তদন্তে যদি কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়, তাহলে আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ‘ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা’ শীর্ষক থোক থেকে গড়গড়ি ইউপির অনূকুলে ৯ লাখ ২৭ হাজার ৭০০ টাকা এবং চকরাজাপুর ইউপির অনূকুলে ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। গত ১৩ মে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি হওয়ার পর ১৫ জুন ইউপি দুটির ব্যাংক হিসাবে টাকা ঢোকে। একই দিন গড়গড়ি ইউপির ব্যাংক হিসাব থেকে সব টাকা তুলে নেওয়া হয়। চকরাজাপুরের বরাদ্দের টাকা তুলে নেওয়া হয় ২৫ জুন।

সরকারি নির্দেশনা ছিল, বরাদ্দের এ টাকা দিয়ে মাটির রাস্তার কাজ করা যাবে না। তারপরেও এ টাকায় মাটির রাস্তার কাজ দেখানো হয়েছে। এছাড়া একটি পাঠাগারের ছাদ ঢালাইয়ের ভুয়া প্রকল্প দেখানো হয়েছে। বরাদ্দের টাকায় কোনো কাজই হয়নি বলে অনুসন্ধানে দেখা গেছে।

ভুয়া প্রকল্পে টাকা লুটপাটের সময় দুটি ইউপিরই প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন সাইফুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি শুধু গড়গড়ি ইউপির দায়িত্বে রয়েছেন। ওই টাকা লোপাটের সময় তিনি চকরাজাপুর ইউপিরও অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন।

গড়গড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি, চাকরাজাপুরের চেয়ারম্যান ডিএম বাবুল মনোয়ার ওরফে বাবলু দেওয়ান ও সচিব সাইফুল ইসলাম এ টাকা লুটপাট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসন এই অনিয়ম তদন্ত করছে। আমি ইতোমধ্যে ইউপি সচিব সাইফুলের ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি দাবি করেছেন যে কাজ হয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখব। অনিয়ম পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share this post

scroll to top