ভারত-মার্কিন সম্পর্ক জোরদার নিয়ে উদ্বিগ্ন চীন-রাশিয়া!

us-india-66e942146391c.jpg

 ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন এক শীর্ষ কূটনীতিক মনে করছেন, বর্তমানে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে উষ্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে, তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে রাশিয়া ও চীন। সোমবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন বলে খবর দিয়েছে এনডিটিভি।

‘সত্যি বলতে কি, আপনি কেন চীন ও রাশিয়ার অংশীদারিত্ব সম্পর্কে এত উদ্বিগ্ন বলে মনে করেন? কারণ আমরা বিশ্বের বাকি অংশে জীবনযাপনের একটি পদ্ধতি নিয়ে এসেছি, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তির বিষয়, বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্পর্কে এবং শাসন সম্পর্কে আইন। অর্থাৎ এটি একটি সমাজে প্রত্যেকের কণ্ঠস্বর শোনার বিষয়,’ বলেন মার্কিন কূটনীতিক।

রিচার্ড ভার্মা শুধু মার্কিন কূটনীতকি না, তিনি সম্মানজনক হাডসন ইনস্টিটিউটে রাজ্যের ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ বিষয়ক উপসচিব।

ভারত-মার্কিন সম্পর্কের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মি. ভার্মা বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক এখন ‘খুবই আলাদা মোডে’ রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের কারণেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উভয় দেশের সম্পর্ককে ‘এই শতাব্দীর সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

২০ বছর আগের কথা স্মরণ করে মার্কিন কূটনীতিক বলেন, বাইডেন যখন সিনেটর তখন স্টাফ ডিরেক্টর টনি ব্লিঙ্কেনের সাথে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ২০২০ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত যদি সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং অংশীদার হয় তবে বিশ্ব একটি নিরাপদ পৃথিবী পাবে।

‘সেটা শুধু এই জন্য নয় যে আমাদের দুটি বড় সামরিক বাহিনী আছে, শুধু এই জন্য নয় যে আমাদের দুটি বড় অর্থনীতি আছে, কিন্তু আমরা আসলে এমন কিছুর পক্ষে দাঁড়িয়েছি; যা সারা বিশ্বের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ,’ বলেন ভার্মা।

এদিকে কোয়াড (QUAD) নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ভার্মা বলেন, এর লক্ষ্য শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি আনয়ন করা।

তার মতে, কোয়াড এমন একটি জোট যা ঘোষণা করেছে যে, প্রযুক্তি ভালোর জন্য, হয়রানি, নজরদারি কিংবা ভুল তথ্য প্রচার করার জন্য নয়।

ভার্মা বলেন, আমি মনে করি এটি একটি চুক্তি-ভিত্তিক নিরাপত্তা সংস্থা না হয়েও নিরাপত্তার উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কোয়াডের মধ্যে দারুণ প্রতিশ্রুতি রয়েছে। আমি মনে করি, এই সপ্তাহান্তের বৈঠকটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী সপ্তাহে তার ডেলাওয়্যারের বাসভবনে চতুর্থ স্বতন্ত্র কোয়াড নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবেন। এর মাধ্যমে চার দেশীয় এই জোটের অন্য তিন সদস্য অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং জাপানের জন্য একটি দারুণ সুযোগ অপেক্ষা করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Share this post

scroll to top