মার্কিন বিবৃতিতে নেই ‘বাংলাদেশ প্রসঙ্গ’, প্রশ্নের মুখে মোদির দাবি

image-843979-1724843017.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের সময় ‘ইউক্রেনের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রসঙ্গও আলোচনায় এসেছে’ বলে দাবি করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে হোয়াইট হাউজের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বাংলাদেশ নিয়ে একটি শব্দও দেখা যায়নি। এতে মোদির দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি তাহলে মিথ্যা বললেন?

মোদির টুইট এবং ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৬ আগস্ট বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে টেলিফোনে আলোচনা করেন জো বাইডেন ও নরেন্দ্র মোদি।

তাদের ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করে নিজের ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

সেখানে তিনি লেখেন, আজ জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। ইউক্রেনের পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমাদের বিশদ মতবিনিময় হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছি এবং দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরও জোর দিয়েছি।

পাশাপাশি একই দাবি করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে দুই নেতা ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন।

অথচ একইদিন হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে মোদি-বাইডেন ফোনালাপের বিষয়ে যে বিবৃতি দেওয়া হয়, সেখানে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে একটা শব্দও ছিল না।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সফরের পাশাপাশি আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে। পোল্যান্ড ও ইউক্রেনে ঐতিহাসিক সফরের জন্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই নেতা জাতিসংঘ সনদের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য তাদের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে কোয়াডের মতো আঞ্চলিক গোষ্ঠীর মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দিয়েছেন।

এখানে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে যে, বাইডেন-মোদির ফোনালাপে বাংলাদেশ নিয়ে কথপোকথনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিস্তর ফারাক রয়েছে। এতে প্রশ্ন উঠছে, দুই নেতার ফোনালাপে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হওয়ার বিষয়ে কী মিথ্যাচার করছে ভারত?

Share this post

scroll to top