বৃষ্টিভেজা দিনে বাংলাদেশের দারুণ শুরু

image-841107-1724275455.jpg

ক্রীড়া ডেস্ক : রাওয়ালপিন্ডির বৃষ্টি প্রথম টেস্টের প্রথমদিনের খেলা হতে দেয়নি ২৩০ মিনিট। বুধবার প্রথম টেস্টের খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি লাঞ্চের আগে। আগেরদিন রাতে ও কাল সকালে বৃষ্টির দরুন চার ঘণ্টারও বেশি সময় হয়নি ব্যাট-বলের লড়াই। খেলা হয়েছে মাত্র ৪১ ওভার। এমন বৃষ্টিভেজা দিনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেবেন যে কোনো অধিনায়ক। নাজমুল হোসেনও তাই করলেন। ফলও পেলেন হাতেনাতে। প্রথম ১০-১৫ ওভারে বাংলাদেশ চেপে ধরে পাকিস্তানকে। ১৬ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা প্রচণ্ড চাপে পড়ে যায়। এর মধ্যে বাবর আজম দুই বলে কোনো রান না করে শরীফুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। বাঁ-হাতি পেসার শরীফুল চার বলের ব্যবধানে দুই উইকেট নেন। তার অপর শিকার পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুন (৬)। চতুর্থ ওভারেই আবদুল্লাহ শফিককে (২) জাকির হাসানের ক্যাচ বানিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন ডান-হাতি পেসার হাসান মাহমুদ।

পিন্ডির সবুজ উইকেটে পেসাররা রাজত্ব করবেন, এ তো জানাই ছিল। হাসান ও শরীফুলের প্রারম্ভিক সাফল্য তারই প্রমাণ। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট যে ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়, সেই সত্য উন্মোচনে সাইম আইয়ুব ও সহঅধিনায়ক সাউদ শাকিলের ব্যাট চওড়া হয়ে ওঠে। দুজনের ফিফটিতে পাকিস্তান ঈষৎ স্বস্তি পায়। প্রথমদিনের খেলা শেষ করে তারা ১৫৮/৪ এ। ওপেনার সাইম চাপের মুখে ব্যাট করে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে যান। ৯৮ বলে ৫৬ রান করে মিরাজের ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন সাইম। বোলার ছিলেন হাসান মাহমুদ। অপর হাফ সেঞ্চুরিয়ান সাউদ শাকিল ৯২ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত। ফিফটির পথে টেস্টে পাকিস্তানের হয়ে দ্রুততম এক হাজার রানের রেকর্ড ছুঁয়েছেন শাকিল। এই মাইলফলক ছুঁতে তার লেগেছে ১১ টেস্ট ও ২০ ইনিংস। ১৯৫৯ সালে সাঈদ আহমেদও ২০ ইনিংসে ছুঁয়েছিলেন এক হাজার রানের মাইলফলক। চতুর্থ উইকেটে সাইম ও সাউদের ৯৮ রানের জুটির সহায়তায় স্বাগতিকরা ১৬ রানে তিন উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দেয়।

মোহাম্মদ রিজওয়ান ২৪ রান নিয়ে আজ দ্বিতীয়দিন শুরু করবেন। চার উইকেট সমান নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন শরীফুল ইসলাম (২/৩০) ও হাসান মাহমুদ (২/৩৩)।

Share this post

scroll to top