লিরিক্সে ‘শহীদ জিয়া’ থাকা গান দিয়ে প্রতিটি কনসার্ট শুরু করবেন জেমস

image-840879-1724204448.jpg

বিনোদন ডেস্ক : জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জেমসের কণ্ঠে ‘বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটি শোনেননি এমন শ্রোতা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এটি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার মতো জ্বালাময়ী একটি গান।

যে গানে ক্রমান্বয়ে উঠে এসেছে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান, শহিদ জননী জাহানারা ইমাম, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন, মুক্তিযুদ্ধে নিহত ত্রিশ লাখ শহিদ, প্রভাতফেরি, একুশের গান, কবি নজরুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধে শহিদ সাত শ্রেষ্ঠ বীর, সুরের পাখি আব্বাস উদ্দিন, মরমি শিল্পী আব্দুল আলিম, তুমি কবি সুফিয়া কামাল, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান, শহিদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সার, মুনীর চৌধুরীর নামসহ আরও অনেক কিছু।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দেশের মানুষ অনেক কিছু নিয়েই মুখ খুলতে শুরু করেছেন। সে ধারাবাহিকতায় নেটজুড়ে একটি বিষয় ভাইরাল হয়েছে, গত আট বছর ধরে জেমস ‘বাংলাদেশ’ শিরোনামের এ গানটি কোনো কনসার্টে গাইতে পারেন না। কারণ, এ গানটিতে জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ আছে। কিন্তু এ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেমস।

তিনি জানিয়েছেন, এ ধরনের বক্তব্য তিনি কখনো কাউকে দেননি। রাজনীতির বেড়াজালে তিনি নিজেকে আগেও জড়াননি, ভবিষ্যতেও জড়াতে চান না। তিনি গানের মানুষ, গান নিয়েই থাকতে চান। যেহেতু গানটি নিয়ে কথা উঠেছে, তাই এখন থেকে নগরবাউল পৃথিবীর যে প্রান্তে যেখানেই কনসার্ট করবে, সেখানেই এ গানটি দিয়ে শুরু করবে।

এ প্রসঙ্গে নগরবাউলের ম্যানেজার রবিন ঠাকুর  বলেন, ‘জেমস ভাইয়ের কাছে শ্রোতা-দর্শকই মুখ্য। এর বাইরে তার আর কোনো উচ্চাভিলাষ নেই। ফলে রাজনৈতিক কোনো বক্তব্য বা কর্মকাণ্ডে কেউ তাকে কখনো দেখেননি, আশা করছি দেখবেনও না। তিনি বাংলাদেশ শিরোনামের গানটি নিয়ে কোথাও কোনো মন্তব্য কখনো করেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেমস ভাই আমাকে জানিয়েছেন, এখন থেকে ‘বাংলাদেশ’ গানটি আমরা প্রতিটি কনসার্টে পরিবেশন করব। এবং সেটা নিয়মিত। এটাই আমাদের পরিকল্পনা। এটা নতুন এক বাংলাদেশ। সবাইকে নতুন করে ভাবতে হবে। রাজনৈতিক সংকীর্ণতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তবেই তো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলাফল পাব আমরা।’

উল্লেখ্য, গানটি লিখেছেন ও সুর করেছেন প্রিন্স মাহমুদ। এটি ২০০০ সালে ‘পিয়ানো’ নামে একটি অ্যালবামে প্রকাশ হয়। একই অ্যালবামে গান গেয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু।

Share this post

scroll to top