চীন ভ্রমণে গেলে পরীক্ষা করা হবে এমপক্সের লক্ষণ

image-839125-1723870026.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও এমপক্স নিয়ে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পর থেকে নড়েচড়ে বসেছে বিভিন্ন দেশ। এশিয়ার কয়েকটি দেশেও এই রোগটির সংক্রমণ দেখা গেছে। যার ফলে দেশগুলোতে এমপক্সের সংক্রমণ ঠেকাতে নেওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ।

এদিকে আগামী ছয় মাস পর্যন্ত চীনে যাওয়া ব্যক্তিদের শরীরে এমপক্সের লক্ষণ পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার৷

যেসব দেশে এমপক্সের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে সেসব দেশ থেকে আসা মানুষ এবং যাদের মধ্যে এমপক্সের লক্ষণ রয়েছে তাদের চীনে ঢোকার আগে ‘নিজ উদ্যোগে কাস্টমসকে তথ্যগুলো জানানোর’ পরামর্শ দিয়েছে চীন৷ এছাড়া এমপক্স আক্রান্ত দেশগুলো থেকে চীনে যাওয়া যানবাহন, কনটেইনার ও পণ্য জীবাণুমুক্ত করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷

অপরদিকে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখা প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ শুক্রবার তিনজনের শরীরে এমপক্স ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়ার খবর দিয়েছে৷ তিনজনই সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সম্প্রতি পাকিস্তানে ফিরেছেন৷

একদিন আগে বৃহস্পতিবার সুইডেন তাদের এক নাগরিকের এমপক্সে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে৷ ইউরোপে এটিই প্রথম এমপক্স সংক্রমণের ঘটনা৷

১৯৭০ সালে আফ্রিকার দেশ ডিআর কঙ্গোতে মানবদেহে প্রথম এমপক্সের সংক্রমণ হয়েছিল৷ পরে সেটি অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে৷

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডিআর কঙ্গোতে প্রায় ২৭ হাজার মানুষ এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন৷ মারা গেছেন ১,১০০-র বেশি মানুষ, যাদের বেশিরভাগই শিশু৷

এমপক্সের জন্য দায়ী মাঙ্কিপক্স ভাইরাস৷ এমপক্স রোগটি আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল৷ এটি স্মলপক্স বা গুটিবসন্তের জন্য দায়ী ভাইরাসের একই শ্রেণিভুক্ত৷ মাঙ্কিপক্স প্রথম পশু থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়৷ কিন্তু বর্তমানে মানুষ থেকে মানুষেও সংক্রমণ ঘটছে৷

এমপক্সে সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস অন্যজনের শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে৷ এমন সংস্পর্শের মধ্যে রয়েছে শারীরিক সম্পর্ক, ত্বকের স্পর্শ, কাছাকাছি থেকে কথা বলা বা শ্বাসপ্রশ্বাস৷ এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ ফ্লুর মতো৷ রোগের একপর্যায়ে শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয় এবং এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে৷

Share this post

scroll to top