নিজস্ব প্রতিবেদক…….
খুলনার বাজারে লাগামহীন হয়ে পড়েছে ডিমের দাম। গত তিনদিনের ব্যবধানে ডজনপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ২৪ টাকা। পরিবহন খরচ ও খাবারের দাম বাড়ায় ডিমের এ মূল্যবৃদ্ধি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, মিস্ত্রিপাড়া, নিরালা, গল্লামারী, রিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ফার্মের মুরগির এক হালি ডিমের দাম ছিল ৩৮ থেকে ৪২ টাকা। শনিবার তা বেড়ে ৪৬ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়।
নগরীর জোড়াকল বাজারের ডিম ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম চাইনিজ, খোকন, সদা নন্দ জানান, তিনদিনের ব্যবধানে হালি প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে আট টাকা। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে এই ব্যবসায়ীরা বলেন, গত কয়েকদিন অতিমাত্রায় বৃষ্টির কারণে নগরীতে ডিম আমদানি একটু কম হয়েছিল। চাহিদা বেশি থাকায় ডিমের সংকট দেখা দেয়। আর এ কারণে ব্যবসায়ীরা বাড়তি দামে তাদের কাছে থাকা ডিম বিক্রি শুরু করেন।
ময়লাপোতা এলাকার আসাদুজ্জামান রিয়াজের পরিবারের সদস্য পাঁচজন। তাদের সবারই প্রিয় খাবার ডিম। তাই সপ্তাহে ওই পরিবারে ৩০টির বেশি ডিম লাগে। কিন্তু গত ২/৩ দিন বাজারে ডিম কিনতে গিয়ে দামবৃদ্ধির কারণে হতাশ হয়ে পড়েন তিনি।
গৃহিণী রাজিয়া সুলতানা বলেন, সবজি, মাছের দাম কমায় মনে হয়েছিল একটু হলেও স্বস্তি আসবে, কিন্তু ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় তা উধাও হয়ে গেছে। তিনদিন আগে ডিমের হালি মানভেদে ৩৮ থেকে ৪২ টাকা থাকলেও এখন তা ৪৬ থেকে ৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বন্ধ না হলে কোন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
তবে খাবারের দাম ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কারণে ডিম উৎপাদনকারীরা দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করেন খুলনা পোলট্রি ও ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন। তিনি বলেন, একটি ডিমের উৎপাদন খরচ ৯ টাকা ৮৮ পয়সা পড়ে যায়। তা হাত বদল হলে আরও ৫০ পয়সা থেকে এক টাকা বাড়ে। এভাবেই দাম বেড়েছে ডিমের।
তিনি আরও বলেন, সরকার ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিতে চাইছে যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। বড় বড় কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে ডিমের দাম কিছুটা হলেও কমবে।