সমালোচক থেকে রানিং মেট, ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কে এই জেডি ভ্যান্স

image-828764-1721126824.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট:  ওহাইও অঙ্গরাজ্যের সিনেটর জে ডি ভ্যান্সকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হলে ৩৯ বছর বয়সী ভ্যান্সই হবেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, যিনি এক সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচক ছিলেন।

এই সিদ্ধান্তের ফলে ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাছাই নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে চলা জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো। প্রথমবারের মতো সেনেটের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া ভ্যান্সকে সেনেটে তার মাত্র দেড় বছর মেয়াদের পরও ট্রাম্পের একজন আদর্শিক মিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ ঘোষণার পর দেরি না করে নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পেজে ভ্যান্স ট্রাম্পের প্রশংসা করছেন এমন একটি ভিডিও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে রিপাবলিকান পার্টি।

বিজ্ঞাপনে ভ্যান্স বলছিলেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্পের একজন সহযোগী হিসেবে থাকতে পেরে আমি গর্বিত।

ওই ভিডিওতে ট্রাম্পের সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে, তিনি (ট্রাম্প) সবসময়ই জানতেন যে তার ভ্যান্সের সমর্থন প্রয়োজন।

‘আমি কখনোই ট্রাম্পের লোক নই। আমি কখনোই তাকে পছন্দ করি না। হায় ঈশ্বর! কেমন ইডিয়ট! আমি তাকে নিন্দনীয় মনে করি।’

জেডি ভ্যান্স ২০১৬ সালে এক সাক্ষাতকারে ও টুইটারে এসব বলেছিলেন , যখন তার স্মৃতিকথা ‘হিলবিলি এলিজি’র প্রকাশনা তাকে খ্যাতি এনে দেয়।

ওই বছরই ফেসবুকে তিনি তার এক সহযোগীকে লিখেছিলেন যে, ‘তিনি ভাবছেন যে ট্রাম্প কি ‘গাধা নাকি আমেরিকার হিটলার’।

কিন্তু এমন অবস্থানে থাকার পরের কয়েক বছরে ভ্যান্স নিজেকে ট্রাম্পের একজন সমথর্ক ও সহযোগীতে পরিণত করেন।

ওহাইও থেকে প্রথমবারের মতো সিনেটর হওয়ার পর, তিনি এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রানিং মেট হিসেবে মনোনীত হলেন।

ওহাইওর এক শহরে তিনি যখন জন্মগ্রহণ করেছেন, তখন তার মা লড়াই করছিলেন নেশার থেকে বেরিয়েআসার জন্য, আর তার বাবা তাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। মূলত দাদা দাদীর কাছে বড় হয়েছেন ভ্যান্স।

সোমবার রিপাবলিকান পার্টির কনভেনশনে বক্তা ছিলেন প্রায় এক ডজনের মতো। এর মধ্যে রাজনীতিক, কনজারভেটিভ অ্যাক্টিভিস্ট ও সাধারণ নাগরিকরা ছিলেন।

কিন্তু এই কনভেনশনের যিনি তারকা, তিনি তখনো মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়াননি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন সন্ধ্যায় সেখানে যান, সমর্থকেরা উল্লাসে সবাই ফেটে পড়ছিলেন। মুহুর্মুহু হাততালি ও স্লোগান দিচ্ছিলো এ সময়ে তারা।

এটা ছিলো এমন এক মূহুর্ত যখন সবাই তার জন্য অপেক্ষা করছিলো। সদ্য বুলেটের ছোঁয়া পাওয়া বীরকে স্বাগত জানানোর যেন এটা ছিলো একটা সুযোগ।

হামলার প্রমাণ ছিলো একেবারেই দৃশ্যমান। কারণ সাবেক প্রেসিডেন্টের কানে ব্যান্ডেজ ছিলো।

পরের কয়েক ঘণ্টা তিনি ভিআইপি সেকশনে বসেছেন, তার রানিং মেট জেডি ভ্যান্সের পাশে। সেখানে তার পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।

যখন সেখানকার বড় পর্দায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখানো হচ্ছিলো ততবারই সমবেত লোকজনকে উল্লাস করতে দেখা যায়।

Share this post

scroll to top