গণমাধ্যমে জেন্ডার-সংবেদনশীল ভাষা ব্যবহার বিষয়ে মুক্ত আলোচনা

Media-P-67b39d672bc49.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: গণমাধ্যমের ভাষা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। তবে বর্তমানে গণমাধ্যমের ভাষা অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু অনলাইনে হয়রানি, সাইবার বুলিং এবং জেন্ডার-অসংবেদনশীল ভাষার প্রয়োগ বন্ধ করা যায়নি।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ’গণমাধ্যমে জেন্ডার-সংবেদনশীল ভাষা’ বিষয়ক এক মুক্ত আলোচনায় বক্তারা এসব কথা  বলেন।

গণমাধ্যমে জেন্ডার-সংবেদনশীল ভাষা ব্যবহারে সাংবাদিকদের উৎসাহী করতে আলোচনার আয়োজন করা হয়। ‘সমতায় তারুণ্য : ইয়ুথ ফর ইক্যুয়ালিটি’ প্রকল্পের আওতায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আয়োজিত মুক্ত আলোচনায় গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষাবিদ, কন্টেন্ট নির্মাতা এবং আয়োজন সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন।

নেদারল্যান্ডস সরকারের অর্থায়নে চার বছর মেয়াদী সমতায় তারুণ্য প্রকল্পটি বাংলাদেশের আটটি বিভাগে যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট।

মুক্ত আলোচনা পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সানজিদা আখতার, ঢাকায় অবস্থিত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সিনিয়র পলিসি এডভাইজার মাশফিকা জামান, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সহযোগী অধ্যাপক (অস্থায়ী)  মনিরা শরমিন, দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক জায়মা ইসলাম, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নিশাত সুলতানা প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সালমা হাসনায়েন, নীলিমা ইয়াসমিন, ডেপুটি ডিরেক্টর-প্রোগ্রাম, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সহকারি পরিচালক এশা ফারুক।

ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, গণমাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপ আছে, সেন্সরশিপ রয়েছে যা কমানো উচিত। গণমাধ্যমে ভুক্তভোগীদের দোষারোপ করার প্রবণতা আছে সেটিও বন্ধ করা উচিত।

ড. সানজিদা আক্তার বলেন, গণমাধ্যমে নারীদের সম্পর্কে অনুমান নির্ভর সংবাদ প্রচারের সাথে সাথেই তা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং মানুষের ধারণাকে প্রভাবিত করে। অনেকসময়ই পরে তা ভুল বলে প্রমাণিত হয়  কিন্তু ততক্ষণে ভুল বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে যায়।

ঢাকায় নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সিনিয়র পলিসি এডভাইজার-জেন্ডার ও সিভিল সোসাইটি, মাশফিকা জামান  বলেন, ‘বাংলাদেশে দুজন নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বহু বছর, কিন্তু পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। মাঝে মাঝে গণমাধ্যমে নারীদের খুব তুচ্ছভাবে ও ছোট করে চিত্রায়ন করা হয়, কিন্ত আমরা গণমাধ্যমের কন্টেন্টে নারী-পুরুষের সমান চিত্রায়ন দেখতে চাই।

Share this post

scroll to top