যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ: গাজায় পুনর্গঠন সামগ্রী আটকে রেখেছে ইসরাইল

ezgif-3d196877b25822-67b2b2ca30a0d.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকায় মোবাইল হোম (কারাভান) ও ভারী নির্মাণ সরঞ্জাম প্রবেশে বাধা দিয়েছেন, যদিও যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী এসব সামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ইসরাইলের পাবলিক ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন কান এ তথ্য জানিয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরাইলের অনুমতির অপেক্ষায় গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজে ব্যবহারের জন্য পাঠানো বুলডোজার, রোড রোলার এবং কারাভানবাহী ট্রাকগুলো দুই সপ্তাহ ধরে রাফাহ সীমান্তে আটকে রয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ৬০,০০০ অস্থায়ী ঘর ও ২,০০,০০০ তাঁবু প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা ছিল, যা ১ মার্চের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। একইসঙ্গে ধ্বংসাবশেষ সরানোর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ সরঞ্জাম প্রবেশের অনুমতি দেওয়ারও কথা ছিল।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস ইসরাইলের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।

‘এটি স্পষ্টভাবে চুক্তি লঙ্ঘনের ইঙ্গিত,’ টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়। তারা মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রতি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত দখলদার ইসরাইল তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।’

গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় এবং ইসরাইল-হামাস বন্দি বিনিময় শুরু হয়। তিনটি ধাপে ৪২ দিন করে চুক্তিটি পরিচালিত হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ ও অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির শর্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, নেতানিয়াহু চান, ইসরাইলি আলোচকরা যুক্তি দিক যে প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোই হামাসের স্বার্থের অনুকূলে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় ৪৮,২৩৯ জন নিহত হয়েছে।

Share this post

scroll to top