ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তানের ঝিলামে ২০ বছর বয়সি এক নারীকে গুলি করে করে হত্যা করেছে তার ভাইয়েরা। অভিযোগ উঠেছে, টিকটক ভিডিও তৈরি করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
যদিও পরে অভিযুক্তরা ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টায় ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা করে।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোয়েটায় টিকটক ভিডিও করায় মেয়েকে গুলি করে হত্যা করে এক বাবা। নিহত ওই কিশোরীর জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। সম্প্রতি সে পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ফিরে এসেছিল।
পুলিশ কর্মকর্তা বাবর বালোচ বলেন, ‘নিহত কিশোরীর বাবা সন্দেহভাজন আনোয়ার উল-হক প্রাথমিকভাবে বলেছিলেন, ‘অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তার ১৫ বছর বয়সি আমেরিকান মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেছে’। তবে পরে তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন। ’
প্রতি বছরই পাকিস্তানে শত শত নারী এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হত্যাকারী ভুক্তভোগীর নিকট আত্মীয়; যারা দাবি করে, পরিবারের ‘সম্মান রক্ষার্থে’ তারা ভুক্তভোগীকে হত্যা করে। জিও নিউজের মতে, সামাজিকভাবে রক্ষণশীল দেশের শহরাঞ্চলেও এই ধরনের সহিংস ঘটনা এখন সাধারণ।
পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিপি) অনুসারে, ২০২৪ সালে ‘সম্মান রক্ষার্থে হত্যা’ (অনার কিলিং) একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে সারা দেশে ৩৪৬ জন এই ধরনের জঘন্য সহিংসতার শিকার হয়েছেন।