পঞ্চগড়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ

ponccogor-67985c1b1f427-1.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘন কুয়াশা এবং উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে গোটা জেলা শীতের কবলে পড়েছে, যার ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা হয়ে পড়েছে অত্যন্ত কঠিন। তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করার ফলে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষ।

ঘন কুয়াশা এবং উত্তরের শীতল বাতাসের কারণে মানুষের চলাচল অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। শহর এবং গ্রামীণ সড়কগুলোতে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। বিশেষত খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য এই পরিস্থিতি আরও বেশি কষ্টকর। ভ্যানচালক, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুরসহ নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য এই শীতের তীব্রতা সহ্য করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশা এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণে তারা কাজে বের হতে বা বাইরে চলাচল করতে পারছেন না। ফলে শীতজনিত রোগ যেমন জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

জেলার হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বাড়ছে। লোকজনের দাবি, শীতের শুরুতেই যদি গরিব ও অসহায় মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়, তবে তারা অনেক উপকৃত হবেন।

স্থানীয়রা জানান, ঘন কুয়াশা এবং শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়ে চলেছে, এবং এ পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারে।

তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, ‘উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস এবং ঘন কুয়াশার কারণে তীব্র শীত অব্যাহত থাকবে। ’

তিনি আরও বলেন, সকালে তাপমাত্রা ১০দশমিক৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।’

স্থানীয় বাসিন্দারা শীতের এই কঠিন সময়ের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আরও সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন, বিশেষত গরিব ও অসহায় মানুষের জন্য ত্রাণ বা শীতবস্ত্র বিতরণের দাবি জানিয়েছেন।

Share this post

scroll to top