শনিবার গাজা থেকে মুক্তি পাচ্ছে আরো চার ইসরাইলি জিম্মি

ezgif-4-f6401d5bf1-6790697c8b5c1.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: হামাসের এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন, আগামী শনিবার চারজন ইসরাইলি নারী জিম্মি মুক্তি পাবে। এই মুক্তির মাধ্যমে একটি নতুন পর্যায়ের বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হবে, যার মধ্যে ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বন্দিরাও মুক্তি পাবেন।

হামাসের মুখপাত্র তাহের আল-নুনু বলেছেন, চারজন ইসরাইলি নারী বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে দ্বিতীয় দফায় ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে।

তবে, তিনি মুক্তিপ্রাপ্ত চার নারীর নাম প্রকাশ করেননি।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।

এই বন্দিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ৪৭০ দিনেরও বেশি সময় ধরে আটক ছিলেন। চুক্তি অনুসারে, হামাসকে বন্দিদের নাম মুক্তির অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে জানাতে হবে, কিন্তু প্রথম দফায় মুক্তি পাওয়া তিন নারীর ক্ষেত্রে সেই শর্ত পূরণ হয়নি।

নুনুর এই ঘোষণার পর, হামাসের এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, পরবর্তী বন্দী মুক্তির তারিখ রোববার হবে, যা পূর্বের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একদিন পর। তবে, পরে হামাস এক সংশোধিত বিবৃতিতে জানায়, মুক্তি শনিবারই অনুষ্ঠিত হবে।

বর্তমানে, প্রথম পর্যায়ের চুক্তির অধীনে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৩৩ জন জিম্মির মধ্যে সাতজন নারী বন্দী রয়েছেন।  তাদের মধ্যে দুইজন সাধারণ নাগরিক, আরবেল ইয়েহুদ (২৯) এবং শিরি সিলভারম্যান বিবাস (৩৩)।

এই বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো যুদ্ধবিরতির এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানালেও তারা হামাসের হাতে বন্দি থাকা অন্যান্য নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

একই সঙ্গে তারা ফিলিস্তিনি বন্দিদের অধিকার এবং তাদের অবিলম্বে মুক্তির বিষয়েও ইসরাইলকে চাপ দিচ্ছে। এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার একটি সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে, যদিও এটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পথে একটি ক্ষুদ্র পদক্ষেপ মাত্র।

এই বন্দি বিনিময়ের চুক্তি শুধু মানবিক কারণেই নয়, বরং রাজনৈতিক প্রভাবের দিক থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। হামাস তাদের সমর্থকদের কাছে এই চুক্তিকে বিজয় হিসেবে তুলে ধরছে, যেখানে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি পেতে দেখা হচ্ছে প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে।

অন্যদিকে, ইসরাইলি সরকার এই চুক্তি বাস্তবায়নে জনসাধারণ এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন ধরে রাখার চেষ্টা করছে, যদিও তাদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন, এটি ভবিষ্যতে হামাসকে আরও শক্তিশালী করার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

তবে এই চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় জটিলতা রয়েছে। বন্দি বিনিময়ের তারিখ, মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকা এবং যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে চলা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে।

Share this post

scroll to top