আবাহনী-মোহামেডান লড়াইয়ের সেকাল একাল

1-678338496f1eb.jpg

ক্রীড়া ডেস্ক : দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী ও মোহামেডান ফুটবলে জন্ম দিয়েছে অনেক ইতিহাসের। বাংলাদেশের অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতো ক্রীড়াঙ্গনেও সংরক্ষণ করা হয়নি কোনো রেকর্ড। বাফুফে, আবাহনী ও মোহামেডান কারও কাছেই দুদলের মুখোমুখি ম্যাচের ফলাফলের বিস্তারিত রেকর্ড নেই।

সেই ইতিহাস সংরক্ষণের কাজটি করেছেন মোহামেডান অন্তঃপ্রাণ সমর্থক ও ক্রীড়া লেখক টি ইসলাম তারিক। ১৯৭২ সালে আবাহনী প্রতিষ্ঠা হয়। ফুটবল মাঠে আবাহনী ও মোহামেডানের প্রথম লড়াই ১৯৭৩ সালে।

১৯৭৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৫০ বছরে আবাহনী-মোহামেডানের সব লিগ, টুর্নামেন্ট ও প্রীতি ম্যাচের ফলাফলের সংকলন, ‘মোহামেডান-আবাহনী ময়দানি লড়াই’ বইটি।

এর মধ্যে মোহামেডান ৪৭ বার (টাইব্রেকারে ১০), আবাহনী ৪৯ বার (টাইব্রেকারে ৪) জিতেছে। অমীমাংসিত ছিল ৩৪ বার, পরিত্যক্ত পাঁচ এবং ওয়াকওভার হয়েছে একবার। জয়-পরাজয়ের পাশাপাশি দুদলের হেড টু হেডে গোল সংখ্যা, গোলদাতা, অধিনায়ক ও কোচের নামও রয়েছে বইটিতে।

ফুটবলের ঐতিহাসিক বই প্রকাশ করতে পেরে আপ্লুত টি ইসলাম তারিক, ‘মোহামেডান-আবাহনীতে যারা খেলেছেন তাদের অনেকের নাম ক্লাবে সংরক্ষিত নেই। এই বইয়ে প্রতি ম্যাচের ফলের পাশাপাশি খেলোয়াড়দের তালিকা, রেফারির নামও রয়েছে, যা তাদের একটি স্বীকৃতিও। এটা আমার তৃপ্তির একটা জায়গা।’

মোহামেডান সমর্থকের বই যাদের উৎসর্গ করা হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছেন আবাহনীর প্রয়াত কিংবদন্তি মোনেম মুন্না ও মোহামেডানের প্রয়াত বাদল রায়।

শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে (বিওএ) বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বর্ষীয়ান ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মুহাম্মদ কামরুজ্জামান। এ সময় মোহামেডানের কিংবদন্তি প্রতাপ শংকর হাজরা, সাইদ হাসান কানন, ইমতিয়াজ আহমেদ নকীবের পাশাপাশি আবাহনীর কিংবদন্তি আবদুস সাদেক, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু উপস্থিত ছিলেন।

Share this post

scroll to top