ডেস্ক রিপোর্ট: শুক্রবার রাত থেকে থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তুলাতে একটি রাসায়নিক কারখানায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ হামলার কথা স্বীকার করেনি।
শনিবার (৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের শিল্প স্থাপনাকে লক্ষ্য করে এই হামলাটি কিয়েভের ড্রোন হামলার একটি উল্লেখযোগ্য সর্বশেষ ঘটনা।
মস্কোর প্রায় ১২০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত একটি শহর তুলার রাসায়নিক প্ল্যান্টটি প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত রাসায়নিক উত্পাদনের জন্য পরিচিত।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেননি, তবে এই হামলা রাশিয়ার লজিস্টিক এবং শিল্প সক্ষমতা দুর্বল করার জন্য কিয়েভের বৃহত্তর কৌশলের অংশ বলে মনে হচ্ছে।
এতে হতাহত বা উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। এই হামলাটি রাশিয়ার সামরিক অভিযানে কোনো ব্যাঘাত ঘটিয়েছে কিংবা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য বৃহত্তর হুমকি সৃষ্টি করেছে কি না তাও স্পষ্ট নয়।
ড্রোন হামলার উদ্দেশ্য, বড় আকারের স্থল সংঘর্ষে জড়িত না হয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে অভিযান চালাতে ইচ্ছুক। এই হামলা তার নিজস্ব সীমানা ছাড়িয়ে প্রতিশোধ নিতে পারে এমন বার্তা।
ইউক্রেনীয় সরকার সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়েছে। এছাড়া অস্ত্রের ডিপো, জ্বালানি মজুদ এবং পরিবহনসহ মূল রাশিয়ান অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার ওপর জোর দিচ্ছে। তবে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।