ডেঙ্গু-কিডনি রোগীদের জন্য পৃথক সেন্টার চালু করতে চাই: ডা. শাহাদাত

shahadat-672bf26122be8.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে একটি অত্যাধুনিক ডায়ালাইসিস সেন্টার ও ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট সেন্টার করতে চান নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বুধবার চসিকের মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। এ সময় চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনারও ঘোষণা দেন মেয়র।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চসিকের উদ্যোগে আমার একটা বড় পরিকল্পনা আছে। চট্টগ্রামে এখন কিডনি রোগী এত বেশি; তারা সবাই কষ্ট পাচ্ছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেলে বেশি রোগী যাওয়ায় অনেকে সুযোগ পাচ্ছেন না। তাই চসিকের উদ্যোগে একটি অত্যাধুনিক ডায়ালাইসিস সেন্টার করতে চাই। যেখানে স্বল্প খরচে ডায়ালাইসিস করাতে পারবেন। এছাড়া বার্ন, ট্রমা, নিউরোসার্জারি হাসপাতালসহ বিশেষায়িত হাসপাতাল গড়ে তোলার ইচ্ছে আছে। গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি আমার মূল ইশতেহার ছিল। আমি এগুলো বাস্তবায়ন করব।

তিনি আরও বলেন, এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ চলছে। আমাদের বিশেষায়িত মেমন হাসপাতালকে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট সেন্টার হিসাবে ঘোষণা করতে চাই। মশা নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রাস্তাঘাট পরিদর্শন করব আমি। আমি আজ ইতোমধ্যে আলকরণে বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি। পরিচ্ছন্ন বা স্বাস্থ্য বিভাগের কেউ দায়িত্বে অবহেলা করলে আমাকে জানাবেন, আমি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব। মশা মারতে এখন যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো আমি যাচাই করব। সেগুলো আসলে কাজ করছে কিনা! প্রয়োজনে মশা নিয়ন্ত্রণে নতুন ওষুধ ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করব।

চসিক মেয়র শাহাদাত বলেন, এক সময় নারী ও নবজাতক শিশুদের সেবায় নগরীতে মেমন হাসপাতালের আলাদা সুনাম ছিল। এখানে এসে চিকিৎসক ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম হাসপাতালে যন্ত্রপাতির ঘাটতি আছে। এই যন্ত্রপাতিগুলো সংগ্রহ করে এবং প্রয়োজনীয় লোকবল দিয়ে মেমন হাসপাতালকে ঢেলে সাজানো হবে। বন্দরটিলা হাসপাতাল, মোস্তফা হাকিম হাসপাতালসহ করপোরেশনের বেশকিছু ভালো বড় হাসপাতাল রয়েছে; এগুলো সংস্কার করে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, প্রকৌশলী ইকবাল হোসেনসহ চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

Share this post

scroll to top