গাজার হাসপাতালে ইসরাইলি হামলা, ‘বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’ বলছে জাতিসংঘ

ezgif-1-4dd536ee6c-671db43aec1cc.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: গত ৬ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি আক্রমণের নতুন কেন্দ্রবিন্দু উত্তর গাজার বিভিন্ন শরণার্থী শিবির এবং হাসপাতাল।  যেখানে গত শনিবার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ধ্বংস্তস্তুপে পরিণত করেছে ইসরাইলি সেনারা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস বলেছেন, অবরুদ্ধ উত্তর গাজায় ইসরাইলের নিবিড় সামরিক অভিযানের কারণে স্বাস্থ্যসেবা সীমিত হয়ে পড়েছে।  এমন আবহে ‘বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন তিনি।

রোববার (৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

তিনি বলেন, ‘উত্তর গাজার পরিস্থিতি বিপর্যয়কর। গুরুতরভাবে সেবা কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে চিকিত্সা সরবরাহের ঘাটতি মানুষকে জীবন রক্ষাকারী জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত করছে’।

কামাল আদওয়ান এটি উত্তর গাজার শেষ কার্যকরী হাসপাতাল। যা শুক্রবার ইসরাইলি বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়। ওই ৩০ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীকে গ্রেফতার করার পর শনিবার ভোরে ইসরাইলি সেনারা চলে যায়।

টেড্রোস বলেছেন, ‘গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশ্ব স্বাস্থ্যকে জানিয়েছে, হাসপাতালের কর্মীদের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে যোগাযোগ হারিয়েছে। ইসরাইলের অবরোধ শেষ হলেও সেখানে চিকিৎসক, নার্স এবং রোগীদের ভারি মূল্য দিতে হয়েছে’।

ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলায় সেখানে ২জন শিশুসহ মোট ১৮ জন ফিলিস্তিনি নির্মমভাবে নিহত হন। এর ফলে গত ২২ দিনের অবরোধ ও অভিযানে উত্তর গাজায় নিহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।

ইসরাইল সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের কাছে হাসপাতাল এলাকায় হামাস নেতা সদস্যদের লুকিয়ে থাকার গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। এজন্যই তারা হাসপাতাল ও হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান করছে। নিয়মিত তল্লাশী ও সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে।

Share this post

scroll to top