ডেস্ক রিপোর্ট: বিজয়নগরে শিক্ষা সপ্তাহের উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানপ্রধানের পুরস্কার একজন বহিষ্কৃত শিক্ষককে দেওয়ার কারণে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কিছু পুরস্কার ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিয়েও অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে উপজেলাজুড়ে চলছে সমালোচনা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ।
জানা যায়, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪-এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয় বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে। তবে শুধু আনুষ্ঠানিকতা করে বাকি পুরস্কার প্রদান করা হয় গোডাউন থেকে। এ পুরস্কার বিতরণীতে মুকুন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হান্নানের দপ্তরি নিয়োগের ঘুস গ্রহণের অডিও রেকর্ড ভাইরালসহ বিদ্যালয়ের ৯৩ লাখ টাকার দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কৃত হন।
তারপরও তাকে উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানপ্রধান হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তবে সে বিতর্ক থেকে বাঁচতে পুরস্কার বিতরণের ফটোসেশনে অংশ নেননি তিনি। শতবর্ষী, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর নামে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বিদ্যানিকেতন নামে নতুন একটি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে, যা নিয়েও উপজেলাজুড়ে বিতর্ক চরমভাবে দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে একজন শিক্ষার্থীর তিনটি বিষয়ের ওপরে অংশগ্রহণ করার সুযোগ না থাকলেও জাকিয়া সুলতানা জান্নাত নামে ইসলামপুর আলহাজ কাজি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম কলেজের এক শিক্ষার্থীকে শ্রেষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী, শ্রেষ্ঠ রোভার, শ্রেষ্ঠ রেঞ্জার, বাংলা রচনা, নির্ধারিত বক্তৃতা, বিতর্কসহ মোট ছয়টি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ঘোষণা করা হয়।
একই কলেজের সবুজ আহমেদ পিনন নামে আরেক শিক্ষার্থীকে নিয়মিতভাবে লোকনৃত্য, উচ্চাঙ্গনৃত্য, নির্ধারিত বক্তৃতা, লোকসংগীতসহ চারটি ক্যাটাগিরতে শ্রেষ্ঠ নির্ধারণ করা হয়। ১৮০ টাকা দামের নিুমানের ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম কয়েকটি দিয়ে বাকিগুলো গোডাউন থেকে বিতরণ করা নিয়ে উপস্থিত অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, একে তো নিুমানের ক্রেস্ট অন্যদিকে অনেক ক্রেস্ট ভাঙাচোরা। অনেকে পুরস্কার গ্রহণ করতে এসে ক্রেস্ট না পেয়ে খালি হাতে ফেরত যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এসব অপমান করার জন্য উপজেলার ডেকে আনার মানে হয় না।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আল মামুন জানান, দলগত ও একক মিলে কয়েকজন একাধিক পদে নির্বাচিত হয়েছে। তাছাড়া জেলায় ভালোভাবে প্রতিযোগিতা করার জন্য কিছু সিলেকশন করা হয়। জেলা শহর থেকে ক্রেস্ট আনার পথে কিছু নষ্ট হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক উপজেলায় শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পর বহিষ্কার হয়েছেন।