ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার বুধবার রাফার তেল সুলতান এলাকায় ইসরাইলি সেনাদের হাতে প্রাণ হারান। তবে যে সেনারা সিনওয়ারকে হত্যা করেছে তারা প্রথমে জানতে পারেনি তাদের হামলায় হামাসপ্রধান নিহত হয়েছেন।
যার ফলে পরিচয় শনাক্তের জন্য পরেরদিন বৃহস্পতিবার তার মরদেহ ইসরাইলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে জানা যায় এটি হামাস প্রধানের মরদেহ। এরপর তার নিথর দেহটিকে একটি গোপন জায়গায় নিয়ে যায় দখলদার ইসরাইল।
ধারণা করা হচ্ছে, হামাস প্রধানের মরদেহকে জিম্মিদের মুক্তির জন্য ‘দর কষাকষির’ কাজে ব্যবহার করবে দখলদার ইসরাইল।
ইসরাইলি দুটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছে, সিনওয়ারের মরদেহকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা যায় সেটিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। যার অর্থ এখনই সিনওয়ারের মরদেহটি কবর দেওয়া হবে না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর প্রায় ২৫০ জনকে ইসরাইল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। তাদের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি জিম্মি এখনো সেখানে রয়ে গেছেন।
একটি সূত্র সিএনএনকে বলেছেন, যদি সিনওয়ারের মরদেহের বিনিময়ে জীবিত এবং মৃত ইসরাইলিদের ফেরত দিতে রাজি থাকে, তাহলে এটি ভালো।
সূত্রটি জানিয়েছে, শুধুমাত্র জিম্মি বিনিময়ের মাধ্যমেই হামাস সিনওয়ারের মরদেহ ফেরত নিতে পারে। আর নয়ত তার মরদেহ কখনো গাজায় নিতে দেওয়া নাও হতে পারে। যদি সিনওয়ারকে গাজায় নিয়ে কবরস্থ করা হয় তাহলে সেটিকে ঘিরে মাজার তৈরি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
এদিকে সিনওয়ারকে হত্যার পরই দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, যদি হামাস অস্ত্র ফেলে দিয়ে তাদের জিম্মিদের ছেড়ে দেয় তাহলে যুদ্ধ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তবে গতকাল শুক্রবার হামাস জানিয়েছে, গাজায় আগে ইসরাইলকে যুদ্ধ বন্ধ ও তাদের সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নিয়ে যেতে হবে। এরপরই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। আর নয়ত কোনো জিম্মি ছাড়া পাবে না।