ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের বৃহত্তম হালাল শোকেস হিসেবে পরিচিত মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেস। এর ২০তম আসরে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে।
মালয়েশিয়ার মিনিস্ট্রি অব ইনভেস্টমেন্ট, ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন, জিইএস মালয়েশিয়া এক্সটারনাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (মেট্রেড) এর আয়োজনে, মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিভিশনে এই মেলা চলবে ১৭-২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত।
এই মেলায় মালয়েশিয়ার হালাল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন বারাহাদ (এইচডিসি) জিইসি ডেভেলপমেন্ট অব ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট অফ মালয়েশিয়া (জেএকেআইএম) সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান আগামিকাল শুক্রবার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছেন প্রথম সচিব বাণিজ্য প্রণব কুমার ঘোষ ।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ২০তম মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেস এবং দ্য গ্লোবাল হালাল হালাল সামিট (জি এইচএ এস) ২০২৪ উদ্বোধন করেন। এ সময় উপ-প্রধানমন্ত্রী ড. আহমেদ জাহিদ হামিদি, মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ, বাণিজ্য, শিল্পমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য, পোশাক শিল্প, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, আইটি ও হস্তশিল্প এসব ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে নওরিস ফুডস লিমিটেড, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, কে.এম.আর ক্রাফ্ট লেদার গোডস এবং প্রাণ ফুড এসকল মেলায় অংশগ্রহণ করেছে।
২০তম এ আসরে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে হালাল অর্থনীতির জন্য স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উদ্ভাবন এবং টেকসই উদ্যোগের ওপর বিশেষ জোর দেবে। এই মেলা শুধুমাত্র আসিয়ান অঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এখানে আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন ট্রেড কমিশন, সরকারি সংস্থা, শিল্প ও ব্যবসায়িক নেতারা অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ জানান, চলমান সময়ে বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় হালাল বাণিজ্যের পরিমাণও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। হালাল বাণিজ্যে অংশগ্রহণ উল্লেযোগ্য এবং সে কারণে এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। হাইকমিশন থেকে প্রবাসীদের এবং প্রবাসী মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এই মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে হালাল সেক্টরের উন্নয়ন তথা মালয়েশিয়াসহ আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।