বিনোদন ডেস্ক : আরজি করকাণ্ডে নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলন চলছে পুরো ভারতজুড়ে। তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একদিকে লালবাজারের সামনে চলছে ধর্না। অন্যদিকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান। মুখ্যমন্ত্রী দেখা করে কথা বলতে রাজি হলেও লাইভ ভিডিওতে তার আপত্তি। এদিকে নিজেদের জায়গায় অনড় চিকিৎসকরা। এমন পরিস্থিতিতে ‘টেক্কা’ সিনেমার প্রচারে সংবাদমাধ্যমে যে কথা বললেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
সিনেমা টেক্কার প্রচারে গিয়ে এদিন নির্মাতা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি প্রথমেই প্রশংসা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সৃজিত বলেন, তিনি অন্তত কথা বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এটাও তো ঠিক যে, আমরা যদি পুরো দেশের প্রেক্ষাপটটা ভেবে দেখি, তাহলে উনি অন্তত কথা বলার চেষ্টা করেছেন। সেই চেষ্টা তো গোটা দেশের অনেক জায়গায় হয় না। মানে আলোচনাই হয় না। বসে কথা বলার কোনো স্কোপ থাকে না। প্রেস কনফারেন্স হয় না। তাই এখানে এ বিষয়টা নিয়ে এভাবে দেখলে চলবে না।
পরিচালক আরও বলেন, আশা রাখতে হবে প্রশাসন এবং আইন ব্যবস্থার ওপর। আর যেখানে যেখানে গাফিলতি হয়েছে, প্রমাণ পাওয়া গেছে, সেই গাফিলতির দায় স্বীকার যাতে করা হয়, সেটি দেখা উচিত। কিন্তু আমরা এটা বলতে পারি না যে, কিছুই তো হচ্ছে না।
গণমাধ্যমকে ভুয়া খবর ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সঞ্জয় রায় একা নন, একাধিক ব্যক্তি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। সৃজিত বলেন, মিডিয়ার এখানে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ রোল আছে। মিডিয়াকে সঠিক প্রশ্ন করতে হবে এবং চাপ বানিয়ে রাখতে হবে। ভুয়া খবর ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে, যাতে বিতর্ক না ছড়ায়। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি এর মধ্যে অনেক ফেক নিউজ ছড়িয়ে পড়েছে। যেমন ১৫-১৬ জন এ ঘটনা ঘটিয়েছে এটা অনুমান। কিন্তু নিশ্চিতভাবে জানি না। এবার কতটা অনুমান করব, কোথায় থামব, সেটা বুঝতে হবে।
উল্লেখ্য, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় এবং দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স লিমিটেডের প্রযোজনায় ‘টেক্কা’ সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৮ অক্টোবর। এ সিনেমায় স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে একজন সাংবাদিকের চরিত্রে দেখা যাবে। রুক্মিণী হবেন পুলিশ অফিসার। অন্যান্য চরিত্রে আছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী প্রমুখ।