ডেস্ক রিপোর্ট: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একই স্থানে দোয়া মাহফিল করতে চাওয়ার ঘটনায় শনিবার রাত ৯টায় শহরের বাবু টকিজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে্লক্স ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- সদর ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবু এবং লেবু মিয়া, নূরনবী, হাবিবুল্লা, জুয়েল, সৈয়দ আলী, রিশাদ ও রাশিক।
জানা যায়, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন কিশোরগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দোয়া মাহফিল করতে প্রধান শিক্ষকের কাছে অনুমতি চান। এর আগে বিএনপির জেলা কমিটির সদস্য মাসুদ রানা পাটোয়ারী একই স্থানে দোয়া মাহফিলের জন্য প্রধান শিক্ষককে জানান। এ নিয়ে মামুন ও মাসুদের মধ্যে মোবাইলে কথা কাটাকাটি হয়। রাতে মাসুদ রানার ছোট ভাই সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন প্রতিপক্ষকে ধাওয়া দেয়। এ সময় মামুন গ্রুপের ১০/১৫ জন আহত হন। পরে মামুনের পক্ষের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে পালটা ধাওয়া দেয়। এ সময় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০/১৫ জন আহত হন। পরে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ-আল মামুন বলেন, দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণের জন্য শহরের কামারপাড়া মোড়ে লোকজনকে দাওয়াত দেওয়ার সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। জেলা বিএনপির সদস্য মাসুদ রানা পাটোয়ারী বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি পলাশ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষই অভিযোগ করেননি।