ডেস্ক রিপোর্ট: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ বরিশালের কলেজ শিক্ষার্থী রিয়াজ হোসেন দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যুবরণ করেছেন।
রোববার দুপুরে তার বড় ভাই রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এদিন জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
গত ৪ আগস্ট ঢাকার ঝিগাতলা এলাকায় মিছিল করার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন রিয়াজ হোসেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের কয়েকজন তাকে ঢামেকে নিয়ে ভর্তি করেন।
নিহত রিয়াজ হোসেন বরিশালের হিজলা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাহমুদুল হক রাড়ীর ছেলে। তিনি মুলাদী সরকারি কলেজের স্নাতক শ্রেণির শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
এছাড়াও রিয়াজ হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল গণি জানান, আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে রিয়াজ সামনের সারিতে ছিলেন। গত ৪ আগস্ট ঢাকার ঝিগাতলা এলাকায় মিছিলে অংশ নেন রিয়াজ। তখন তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। এরপর আন্দোলনকারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হিজলা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহসিন সিকদার জানান, রিয়াজ ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তার এ ত্যাগ জাতি ভুলবে না। রিয়াজ উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। গত ৩১ জুলাই থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে ঢাকায় আন্দোলনে ঝিগাতলা এলাকায় অবস্থান করছিলেন। ৪ আগস্ট সকালে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৭ আগস্ট রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বড়ভাই রেজাউল করিম জানান, মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ায় রিয়াজের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। গত কয়েকদিন ধরে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।