২০ মাস পর টুইটারে ফিরলেন নিষিদ্ধ কঙ্গনা

kangana-ranaut-risingbd-2301251015.jpg

বিনোদন ডেস্ক ……..

বিতর্কিত পোস্ট, সাম্প্রদায়িক উসকানি ও অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রাণৌতের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়েছিল। টুইটার কর্তৃপক্ষ কড়া নজরদারি রেখে একাধিকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও শোনেনি অভিনেত্রী। শেষমেশ ২০২১ সালে টুইটার থেকে বিতাড়িত হোন কঙ্গনা।

প্রায় দুই বছর টুইটার থেকে নির্বাসিত থাকার পর অবশেষে প্ল্যাটফর্মটিতে ফিরলেন বলিউডের এই কন্ট্রোভার্সি কুইন। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী একের পর এক বিতর্কিত টুইট করায় এই অভিনেত্রীকে নিষিদ্ধ করেছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জয় মেনে নিতে পারেননি বিজেপি সমর্থক বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা। একের পর এক বিরূপ টুইট করেছিলেন তিনি। এক টুইটে কঙ্গণা লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গারা মমতার সবচেয়ে বড় শক্তি। যা চলছে, তাতে হিন্দুরা আর সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বাঙালি মুসলিমরা বেশি দারিদ্র্য আর সবচেয়ে দুরবস্থায় জীবন যাপন করে। ভালো, আরেকটি কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে।’

এমনকি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ভিলেন’ আখ্যা প্রতিহিংসামূলক টুইট করে কঙ্গনা লিখেছিলেন, ‘এটা ভয়ংকর…গুন্ডাকে মেরে ফেলার জন্য আমাদের সুপার গুন্ডার প্রয়োজন…। তিনি অব্যক্ত দানবের মতো, তাঁকে দমন করার জন্য দয়া করে ২০০০ সালের প্রথম দিকের বিরাট রূপটা দেখান মোদিজি…#PresidentRuleInBengal।’

কঙ্গনার এসব পোস্ট ঘৃণ্য এবং আপত্তিজনক বলে অভিযোগ ওঠেছিল। এর পরেই বলিউড অভিনেত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে টুইটারের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘আমরা বারবার জানিয়েছি, কোনো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনে অশান্তি সৃষ্টি করা হলে কঠোর পদক্ষেপ নেব। এই অ্যাকাউন্ট একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আমাদের হেটফুল কনডাক্ট (ঘৃণা ছড়ানো) পলিসি ও অ্যাবিউসিভ বিহেভিয়র (খারাপ ব্যবহার) পলিসি না মানার জন্য। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, টুইটারের সব ব্যবহারকারীর জন্যই এক নিয়ম মেনে চলি আমরা।’

সেসময় টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদে ছিলেন পরাগ আগরওয়াল। তবে গত বছরের শেষের দিকে টুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক। টুইটারের মালিকানা পাওয়ার পরপরই পরাগ আগারওয়ালসহ আরো কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করেন ইলন মাস্ক। সঙ্গে ইঙ্গিত দেন নিষিদ্ধ কিছু অ্যাকাউন্ট সচল করার ব্যাপারেও। এতে আশার আলো দেখেছিলেন কঙ্গনা। এসময় কঙ্গনা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভক্তদের বেশ কিছু পোস্ট শেয়ার করেন। তাতে দেখা যায়, ইলন মাস্ককে ট্যাগ করে ভক্তরা লিখেছেন, ‘বাকস্বাধীনতা অত্যন্ত জরুরি। কঙ্গনার টুইটার অ্যাকাউন্ট সচল করে করে দেওয়া হোক।’

অবশেষে টুইটারে প্রত্যাবর্তনের ইচ্ছেপূরণ হলো অভিনেত্রীর। টুইটার কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ কঙ্গনার অ্যাকাউন্টটি ২০ মাস পর সচল করেছে। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) তার এই ফিরে আসার কথা টুইট করে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। টুইটে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘সবাইকে নমস্কার জানাচ্ছি। আবার টুইটারে ফিরে আসতে পেরে ভালো লাগছে।’ সেই সঙ্গে কঙ্গনা তার পরবর্তী ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমার একটি ছবিও পোস্ট করেছেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top