ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়টি একটা ফেক প্রোপাগান্ডা। বাংলাদেশের গণজাগরণকে ব্যর্থ প্রমাণ করার জন্য ও নতুন সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট নাটকের প্রচার চালাচ্ছে একটি মহল। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের মানুষ ও বিশ্ব মতামত কেউ এটাকে বিশ্বাস করবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণআন্দোলনে যেসব ছাত্র-জনতা শহিদ হয়েছে, তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আরাফাত রহমান কোকো রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন ক্রীড়াপ্রেমী ও সংগঠক। জীবদ্দশায় ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করেছেন। আজকের এই দিনে আমরা তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
মহাসচিব বলেন, আজকে নতুন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সফল হবে, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক মহলে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
মির্জা ফখরুল বলেন, একই সঙ্গে আমরা একটি কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই— বর্তমান যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে, তাদের অনুরোধ অতিদ্রুত একটি নির্বাচনের ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এবং সমস্ত বিপদ কাটিয়ে সত্যিকারের একটি মুক্ত বাংলাদেশ তৈরি করবে। সেই সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের একটি সরকার গঠন হবে।
শেখ হাসিনা বলেছেন, সেন্টমার্টিন আমেরিকাকে দেয় নাই বলে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে— এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বাকোয়াজ; নিজে যখন ব্যর্থ হয়, তখন অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেয়— এটি তাদের ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্য। তারা সবাই জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য কাজ করছে। দেশকে আশঙ্কামুক্ত করার জন্য সবাইকে সজাগ থেকে রাস্তায় নামতে হবে। জনগণের কাছে এই হচ্ছে আমার প্রত্যাশা বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।