হানিয়াকে কোন কায়দায় হত্যা করা হয়েছে, জানাল ইরান

image-834004-1722750252-1.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: গেল বুধবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ পেজেকশিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে গিয়ে তেহরানে ইসরাইলি গুপ্ত হামলায় হত্যাকান্ডের শিকার হন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। তার মৃত্যুর প্রায় তিন দিন পর এই হত্যাকান্ডের মোটিভ উন্মোচন করেছে ইরান।

দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) জানিয়েছে, হানিয়াকে হত্যায় ‘স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র’ ব্যবহার করেছে ইসরাইল। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

শনিবার এক বিবৃতিতে বাহিনীটি বলেছে, ‘প্রায় ৭ কেজি ওজনের বিস্ফোরক পদার্থ বহনকারী স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে অতিথি ভবনের বাইরে থেকে হামলাটি চালানো হয়। এতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়’।

ইসরাইলকে হুশিয়ারি দিয়ে আরো বলা হয়, ‘হানিয়ার খুনিরা সঠিক সময়ে, সঠিক স্থানে, সঠিক উপায়ে কঠিন শাস্তি পাবে।’

হামাসের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিপক্ষে হত্যার অভিযান পরিচালনা করে আসছে ইসরাইল।  চলমান গাজা যুদ্ধ চলছে প্রায় ১০ মাস ধরে। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির তীব্র দাবি উপেক্ষা করে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইল।এরমধ্যে প্রতিপক্ষ হামাসের শীর্ষ নেতা হানিয়াকে হত্যা করে মধ্যপ্রাচ্যে আরো উত্তেজনা উসকে দিয়েছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্য তো বটেই, বিশ্বজুড়ে এখন আলোচনার বিষয়বস্তু হানিয়ার মৃত্যু। প্রশ্ন উঠেছে, কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় ভেঙে তেহরানের অভিজাত এলাকায় কীভাবে গুপ্ত হামলার শিকার হলেন হানিয়া।

তবে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিবৃতির আগে একাধিক পশ্চিমা মিডিয়াগুলো তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, হানিয়াকে হত্যা করা হয় আগে থেকে লুকিয়ে রাখা বিস্ফোরক দিয়ে।  দ্য টেলিগ্রাফের দাবি, তেহরানে ইরানের আবাসস্থলে

বিস্ফোরক রাখতে দুই ইরানি নিরাপত্তা এজেন্টকে নিয়োগ করে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।

অন্যদিকে নিউইয়র্কের টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র নয় পুঁতে রাখা বিস্ফোরক দিয়েই হানিয়াকে হত্যা করেছে ইসরাইল।

Share this post

scroll to top