ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের নেতা ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর পর আলোচনায় হতে যাচ্ছেন পরবর্তী হামাস প্রধান? তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এরই মধ্যে উঠে এসেছে হামাসের কয়েকজন ত্যাগী নেতার নাম। যার মধ্যে খালেদ মেশাল, ইয়াহিয়া সিনওয়ার, মোহাম্মদ দেইফ, মারওয়ান ইসা অন্যতম। এরমধ্যে এগিয়ে আছেন খালেদ মেশাল।
খালেদ মেশাল ১৯৯৭ সালের দিকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছিলেনে ইসরায়েলের হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে ফিরে। ইসরায়েলের চররা সে সময় জর্ডানের রাজধানী আম্মনে মেশালের কার্যালয়ের বাইরে রাস্তায় তাকে বিষপ্রয়োগ করে হত্যা করতে চেয়েছিল।
জর্ডানের তৎকালীন রাজা হুসেইন তখন বিষের প্রতিষেধক সরবরাহ করা না হলে হত্যার চেষ্টাকারীদের ফাঁসি দেওয়া এবং ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছিলেন।
ইসরায়েল জর্ডানের রাজার দাবি মেনে নিয়েছিল এবং একইসঙ্গে তারা হামাস নেতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনকেও মুক্তি দিয়েছিল। যদিও সাত বছর পর গাজায় তাকে হত্যা করে তারা।
ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ইরান-সমর্থিত হামাস একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তাদের দাবি, ইসরায়েলের ধ্বংসের জন্য এই গোষ্ঠী লড়াই করছে।
কিন্তু ফিলিস্তিনি সমর্থকদের কাছে, খালেদ মেশাল ও হামাসের অন্যান্য নেতারা ইসরায়েলি দখলদারিত্ব থেকে ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে যাওয়া নেতা।
১৯৯০ দশকের শেষের দিক থেকে হামাসের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন মেশাল। যদিও তিনি মূলত নির্বাসনে থেকে কাজ করে আসছিলেন।