কক্সবাজারে শিক্ষার্থী-জনতার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ

image-833418-1722642939.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: কোটা সংস্কারের আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থী-জনতার সম্মিলিত উদ্যোগে কক্সবাজারে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির আলোকে কক্সবাজার শহরের কালুর দোকান এলাকায় জড়ো হন তারা।

পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ কক্সবাজার শহরের প্রবেশদ্বার লিংক রোডে যান। সেখানে অবস্থানের পর বিকালে পুনরায় কালুর দোকান এসে বিক্ষোভটি শেষ হয়। শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অংশ নেয় অভিভাবক ও সাধারণ মানুষজন।

গত কয়েকদিন ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নগ্নভাবে ব্যবহার, সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান ধরে বিক্ষুব্ধ জনতা। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আওয়ামী লীগ সরকারে পতন দাবি তুলেছে তারা।

‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’; ‘আমার ভাই খুন কেন, শেখ হাসিনা জবাব চাই; ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’; ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’, ‘বায়ান্নের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো কক্সবাজারের রাজপথ।

বিক্ষোভের একপাশে শৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম অবস্থান করতে দেখা গেছে। যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)  মো. মিজানুর রহমান বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের টানা কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুমাবারেও তারা মাঠে নেমেছে। শহরের কালুর দোকান থেকে শুরু করে, লিংকরোড এ কিছুক্ষণ শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। পরে পুনরায়  কালুর দোকান এসে শেষ করে তাদের মিছিল।

প্রসঙ্গতঃ, কোটা আন্দোলনের শুরুতে কক্সবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত ছিল ও স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ১৬ জুলাই বেলা ১১টার দিকে মিছিল করে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কের লিংকরোড এলাকায় অবস্থান নেয় কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে পর্যটন শহরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও ছাত্রলীগের ৪ নেতার মারধরের ঘটনায় এ পর্যন্ত পৃথক ৭টি মামলায় ৬৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Share this post

scroll to top