১০ দিন পর ফিরলেও মোবাইল ইন্টারনেটের গতি নেই

image-831216-1722160183.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকাসহ সারা দেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ দিন বন্ধ ছিল মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ। আজ বিকাল ৩ টা থেকে ফের মোবাইল থেকে ইন্টারনেট সংযোগ পাচ্ছেন গ্রাহকরা। তবে নেটের স্পিড একেবারেই স্লো।

ব্যবহারকারীরা জানান, প্রথম অবস্থায় ইন্টারনেটের গতি অনেকটাই কম। এ নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

এদিন সকালে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ-অ্যামটবের সঙ্গে এক বৈঠকের পর টেলিকম ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, আজ আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, আজ বিকাল ৩টায় মোবাইল নেটওয়ার্কের ফোরজি কানেক্টিভিটি পুনঃস্থাপন করা হবে। আশা করছি, আজ বিকাল ৩টা থেকে পুনরায় সংযোগ করতে পারব।

মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকরা বিভিন্ন ডেটা প্যাকেজ কিনে ব্যবহার করতে না পারায় যে ক্ষতির মুখে পড়েছেন, সে কথাও স্বীকার করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকদের প্রত্যেকে তিন দিনের জন্য ৫ জিবি ডেটা বোনাস হিসেবে পাবেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৭ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে পরদিন রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়।

মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মোবাইলে আর্থিক লেনদেন, বিদ্যুৎ-গ্যাসের প্রিপেইড কার্ড রিচার্জ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। কোথাও কোথাও ব্যাংকের এটিএম বুথও বন্ধ হয়ে যায়।

ইন্টারনেট না থাকায় স্থবির হয়ে পড়ে ই-কমার্স, পোশাক খাতসহ বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য, বন্ধ থাকে বন্দরের কার্যক্রম। ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের সংবাদ সেবাও অচল হয়ে পড়ে।

এমতাবস্থায় মঙ্গলবার রাত থেকে চালু করা হয় ব্রডব্যান্ড সংযোগ। তবে ব্রডব্যান্ডের গতিও আশানুরুপ নয়।

স্বাভাবিক গতি না ফেরায় গ্রাহকরা অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।

Share this post

scroll to top