কতক্ষণ পর্যন্ত থাকতে পারে ইন্টারনেটের ধীরগতি

image-830853-1722070297.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৪ এর সিঙ্গাপুর প্রান্তে রক্ষণাবেক্ষণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যার ফলে কক্সবাজার থেকে সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।  এই সার্কিটের সঙ্গে যুক্ত গ্রাহকদের শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারে কিছুটা ধীরগতির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শনিবার বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এর মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে টুয়াস ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে কনসোর্টিয়াম কর্তৃক ল্যান্ড ক্যাবলের ত্রুটি নিরসনের লক্ষ্যে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে এই সময়ে সি-মি-উই-৪ এর মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে। তবে আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিপিএলসি) সি-মি-উই-৪ এবং সি-মি-উই-৫ নামের দুটি আন্তর্জাতিক সাবমেরিন কেবল কনসোর্টিয়ামের (কোম্পানি) সদস্য। যেটি বাংলাদেশে সাবমেরিন ক্যাবলসের অধিক ক্ষমতা ও পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করে। বর্তমানে সি-মি-উই-৪ এবং সি-মি-উই-৫ কেবল দুটির মাধ্যমে বাংলাদেশের ইন্টারনেট এবং আন্তর্জাতিক ভয়েস ট্র্যাফিক চলছে।

বিএসসিপিএলসি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে মোট ব্যান্ডউইথের ব্যবহার ৫ হাজার জিবিপিএসের বেশি। এর অর্ধেকেরও বেশি প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) লাইসেন্সের মাধ্যমে আসে, যা ভারত থেকে স্থলপথে ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে ব্যবহৃত হয়। বাকি ২ হাজার ৪০০ জিবিপিএসের মতো ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি। দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এ ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ-৪ (সিমিউই-৪) কনসোর্টিয়ামের সদস্য।

২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়। এর ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে। এটি প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে থাকে।

Share this post

scroll to top