দলীয় কার্যক্রমে জিএম কাদেরের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল

GM-Quader-2301191327.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক…….

জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধার দায়ের করা মামলায় দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, তা বহাল রেখেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া এ আদেশ দেন।সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০২২ সালের ৪ অক্টোবর জি এম কাদেরকে জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে অবৈধ ঘোষণার ডিক্রি চেয়ে আদালতে মামলা করেন জিয়াউল হক মৃধা। আদালত আসামির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করেন। তবে, জিএম কাদের আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ৩০ অক্টোবর পার্টির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এ আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিস আপিল (নিম্ন আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ) করেন জি এম কাদেরের আইনজীবীরা। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

জিয়াউল হক মৃধা মামলায় অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই জাপার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর ছয় মাস আগে ১ জানুয়ারি জি এম কাদের তার বড় ভাই এরশাদকে ভুল বুঝিয়ে ‘জাতীয় পার্টির জন্য ভবিষ্যৎ নির্দেশনা’ শিরোনামে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করান। এরপর জি এম কাদের প্রথমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, পরে চেয়ারম্যান হন, যা ছিল গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী।

এ নিয়ে দলের ভেতরে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে এরশাদ ২০১৯ সালের ২২ মার্চ জি এম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেন। ৪ মে পুনরায় তাকে জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেন। তখন এরশাদ গুরুতর অসুস্থ থাকায় তিনি স্বাভাবিক বিবেচনা প্রয়োগে সক্ষম ছিলেন না। এরশাদের মৃত্যুর পর ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন জি এম কাদের। দলের গঠনতন্ত্রে এভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণার কোনো বিধান নেই।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, জি এম কাদের নিজেকে জাপার চেয়ারম্যান দাবি করে ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সম্মেলন ডাকেন। এর কিছু দিন আগে ১৯ ডিসেম্বর এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে জি এম কাদেরকে চেয়ারম্যান ঘোষণা কেন বেআইনি হবে না, মর্মে রুল দেন হাইকোর্ট। এটি বিচারাধীন অবস্থায় দলের কাউন্সিল করেন জি এম কাদের। এরপর তিনি পার্টির চেয়ারম্যান হন। রুল থাকা অবস্থায় জি এম কাদেরের পার্টির চেয়ারম্যান হওয়া কেন অবৈধ নয় অভিযোগ করা হয় মামলায়।

একই অভিযোগে জাপার সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা গত ২৩ অক্টোবর জি এম কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে বেআইনি ঘোষণার ডিক্রি চেয়ে আরেকটি মামলা করেন।

এদিকে মামলাটি দুটি খারিজের জন্য আবেদন করেছেন জি এম কাদেরের আইনজীবীরা। এ বিষয়ে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হকের আদালতে উভয় পক্ষের শুনানি হয়েছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top